নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, ১৯৭১ সালে ভারত আমাদের যে সহযোগিতা করেছে তা কখনো ভুলা যাবে না।ভারতের অনেক সৈনিক মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দিয়েছে।ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্ত দিয়ে লেখা।
বৃহস্পতিবার (০১ জুন) বিকালে অ্যাড. আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্সে ‘ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ টেনিস টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের সাথে যে কোনো যৌথ কাজে আমরা গর্ব অনুভব করি।এই খেলার মাধ্যমে তাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ টেনিসে এগিয়ে যাচ্ছে।আমাদের প্রতিভা আছে, সঠিক ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে কাজে লাগাতে হবে।আমরা এমন একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি করতে চাই, যার মাধ্যমে সারা বিশ্ব বাংলাদেশকে চিনবে।বিশ্বে এমন অনেক দেশ আছে যাদের টেনিস খেলোয়াড়ের মাধ্যমে সেই দেশ বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিতি লাভ করেছে।
তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, ছেলে-মেয়েদের সবসময় শ্রেণিকক্ষে বসে পড়াশোনা করালেই হবে না, শরীর ফিট রাখতে হলে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই।শুধু যে পড়াশোনার মাধ্যমেই প্রতিভা বিকশিত হয় এমন ভাবনা ঠিক নয়, খেলাধুলার মাধ্যমেও প্রতিভা বিকশিত হয়।সন্তানের প্রতিভা খুঁজে বের করে সঠিক কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজশাহী বাংলাদেশের সুন্দর ও বৃহত্তম শহর এবং শিক্ষানগরী হিসাবে পরিচিত।শুধু এটাই নয় খেলাধুলায়ও এই শহর অনেক এগিয়ে।এক সময় এই শহরের ছেলে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে।পরিবেশে রাজশাহী শহর এক নম্বর হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে, একদিন টেনিসেও রাজশাহী এক নম্বর হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্ এনডিসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) শেখ ইউসুফ হারুন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, আরএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ আনিসুর রহমান, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, ভারতের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার।
অনুষ্ঠানে দুই দেশের টেনিস খেলোয়াড়সহ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে প্রতিমন্ত্রী বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে ‘ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ টেনিস টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।পরে প্রতিমন্ত্রী জুনিয়র খেলায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অ্যাড. আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্সে ‘ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ টেনিস টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এতে স্বাক্ষর করেন কলকাতার বেঙ্গল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন ঘোষ ও অ্যাড. আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্সের সাধারণ সম্পাদক মো. এহসানুল হুদা দুলু।