দীর্ঘ একযুগ পর মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুরু হয়েছে সিজার ও সাধারণ অপারেশন কার্যক্রম।বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারটির উদ্বোধন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাহীন।
উদ্বোধনের সাথে সাথেই সিজার করা হয় বৈবাহিক জীবনের ১৯ বছরের মাথায় সর্বপ্রথম মা হতে যাওয়া প্রসুতি ময়না বেগমের (৩৫)।সিজারে ময়না পুত্র সন্তানের মা হয়েছেন।এদিন আরো এক প্রসুতির সিজার করা হয়।
হাসপাতালে গর্ভবতী প্রসুতিদের সিজারের দায়িত্বে রয়েছেন সার্জন ডাঃ সিরাজুল মুনিরা, ডাঃ নাইমা হাসান ও এ্যানেসথেসিয়া ডাঃ মেহেদী হাসান।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এ অপারেশন কার্যক্রম আপতত হবে প্রতি সপ্তাহের সোমবার।গর্ভবতীদের সিজারের পাশাপাশি অপারেশন হবে এ্যাপেনডিকস, হার্নিয়া ও হাইড্রোসিলের।
এর আগে অপারেশন থিয়েটারের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির অভাবে দীর্ঘকাল ধরেই এ সরকারী হাসপাতালের সিজার সহ সকল অপারেশন কার্যক্রমই বন্ধ ছিলো।বর্তমানে দায়িত্বে থাকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাহীনের উদ্যোগে একযুগ পর অপারেশন থিয়েটারটি চালু হয়েছে।তাই এখন থেকে নামমাত্র সরকারী স্বল্প খরচে সিজারসহ অন্যান্য অপারেশন সেবা নিতে পারবেন হাসপাতালে আগত রোগীরা।
এ হাসপাতালে প্রথম রোগীর সিজার করা চিকিৎসক সার্জন ডাঃ সিরাজুল মুনিরা বলেন, দীর্ঘ এক যুগ বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার চালু হওয়া ওটিতে প্রথম যার সিজার করেছি তিনি ১৯বছর পর মাতৃত্বের স্বাদ নিতে পেরেছেন।এটাই আমাদের কাছে ভীষণ আন্দন্দের।আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যেন রোগীদের সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যেতে পারি সেজন্য সকলের কাছে দোয়া চাইছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাহীন বলেন, দীর্ঘ এক যুগ পরে হলেও আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওটিটি চালু করতে পেরেছি।এটি মোংলাবাসীর জন্য আন্দন্দের খবর।এখন থেকে প্রতি সোমবার সিজারসহ সাধারণ অপারেশন চালু থাকবে।আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই হাসপাতালের সকলকে বিশেষ করে চিকিৎসক, সিনিয়র ষ্টাফ নার্স, মিডওয়াইফ, আয়া, ওয়ার্ডবয়, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও রোগীদের।সকলের সহযোগীতা পেলে আমাদের এ অপারেশন কার্যক্রম ভবিষ্যৎতেও চালু রাখতো পারবো।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম যার সিজার হয়েছে তিনি পুত্র সন্তানের মা হয়েছেন।মা ও সন্তান দুইজনই সুস্থ্য রয়েছেন। দুপুরে আরো একটি সিজার রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ওটি চালুর পর হাসপাতালের প্রথম সিজারই সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিহাল খান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।