সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে শালিয়াগাড়ী বাঁশের মেলায় ইজারাদারদের দাপটে দোকানদাররা জিম্মি।খাজনা আদায়ের নামে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইজারাদার হাফিজুর ও মিলনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনেক গুলো পার্বনের মধ্যে বাঁশের মেলা একটি অন্যতম পার্বন।এই পার্বন উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় ৩১ মে বুধবার শালিয়াগাড়ী বাজারে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় বাঁশের মেলা।আর এই মেলায় আগমন ঘটে বিভিন্ন ধরনের দোকানীদের।
কিন্তু এই মেলায় আগত বিভিন্ন রকমের দোকানীদের কাছ থেকে খাজনা আদায়ের নামে সরকারি বিধি বর্হিভূতভাবে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে হাট ইজারাদার মোঃ হাফিজুর রহমান ও মিলন সরকার।
দোকানের শ্রেণী ভেদে নূন্যতম ৫ শত টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা পর্যম্ত খাজনা আদায়ের নামে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে তাঁরা।
সরকারি বিধি মোতাবেক হাট ইজারাদার গণ শুধু হাটের টাকা সরকারি নির্ধারিত মূল্যটাই নিতে পারবে এর বাইরে অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার কোন সুযোগ নেই।কিন্তু এই মেলা সরকারি ভাবে নিলাম না হওয়ায় এই মেলায় সরকারি রশিদে খাজনা আদায় করা দন্ডনীয় অপরাধ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেলায় আগত একাধিক মিষ্টির দোকানদারগণ অভিযোগ করে বলেন, শালিয়াগাড়ী হাটের ইজারাদাররা কৌশলে খাজনা আদায়ের নামে আমাদের পকেট কেটে নিচ্ছে।আমরা সারাদিনে ১ হাজার টাকা আয় করতে পারি না।কিন্তু ইজারাদারদের লোকজন জোরপূর্বক আমাদের থেকে দোকান ভেদে ৫’শ থেকে ১ হাজার টাকা করে খাজনা নিচ্ছে।দোকানদারগণ ক্ষোভের সাথে বলেন এটা তো খাজনা আদায় নয় এক ধরনের নিরব চাঁদাবাজি।
অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে শালিয়াগাড়ী হাটের ইজারাদার মোঃ হাফিজুর রহমানকে মুঠোফোনে ফোন করা হলে তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
অন্যদিকে আরেক ইজারাদার মিলন সরকারের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাট আমরা সরকারি ভাবে ডেকে নিয়েছি।তাই মেলা থেকে দোকান ভেদে ৫’শ থেকে ১ হাজার টাকা করে নেয়া নিচ্ছি।আপনারা নিউজ করে কিছুই করতে পারবেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি কণা মন্ডলের কাছে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাটে খাজনা আদায়ের নিয়ম আছে, মেলায় অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের কোন নিয়ম নেই।অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হলে হাট ইজারাদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।