বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার ছোনকায় অবস্থিত মজুমদার ফুড প্রোডাক্টন ও এস. আর কেমিক্যাল ইন্ডাষ্টি এর বিষাক্ত কেমিক্যাল ও বর্জ্য ফুলজোর নদীতে নিস্কাশন হওয়ার কারণে পানি দূষিত হয়েছে।পানি দূষিত হওয়ার কারণে নদীতে ৭০জন মৎস্যচাষীর ২৫’শ হ্যাচারীর মাছ সহ নদীতে থাকা সকল প্রকার জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে।
এমনকি নদীতে জনসাধারণ গোসল করার কারণে নানা রকম চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছে, সেই সাথে গবাদি পশুর নানা ধরনের রোগ সহ বিভিন্ন সংক্রমণ রোগ দেখা দিচ্ছে।নদীতে ভাসমান হাজার হাজার হাস মুরগী, ১টি গরু সহ অংখ্যক পশুপাখি মারা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ মে) দুপুর ১২টায় উপজেলার ফুলজোড় নদীর বিভিন্ন এলাকা রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী তৃপ্তি রাণী কনা মন্ডল সহ প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিক উদ্দেশ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৃপ্তি কণা মন্ডল বলেন, রায়গঞ্জ উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত চান্দাইকোনা হতে নলকা ব্রীজ পর্যন্ত ফুলজোড় নদীর প্রায় ৩০ কিলোমিটার পানি দূষিত হয়েছে।ফুলজোড় নদীতে কোন জনসাধারণ গোসল, গবাদি পশু গোসল না করে এমনকি নদীতে কোন কাজ না করার জন্য ১০টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে প্রচার করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সেই সাথে গ্রাম পুলিশদের এলাকাবর্তী তীরে লাল পতাকা উত্তোলন করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নদীর পানি দূষিত হওয়ার বিষয়টি বগুড়া জেলা প্রশাসক ও শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা হয়েছে।আজকের মধ্যেই শেরপুর উপজেলা ছোনকায় অবস্থিত মজুমদার ফুড প্রোডাক্টস ও এস.আর কেমিক্যাল ইন্ডাষ্টিটি সিলগালা করা হবে।
পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সিরাজগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল গফুর, রায়গঞ্জ প্রাণি সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা: আজমেরী হাসনাত, ভ্যাটেনারী সার্জন আমিনুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার ডা: সুমন কুমার রায়, নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক সহ ফুলজোড় নদীর তীরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষী সহ সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ৩১ মে সকাল ১১টার দিকে নলকা ইউনিয়নের জনসাধারণে উদ্যোগে সাহেবগঞ্জ বাজারে (ঢাকা-বগুড়া) মহাসড়কে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করে।
মানববন্ধন শেষে ক্ষতিগ্রস্তরা (ঢাকা-বগুড়া) মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে।ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভে মহাসড়কে সকল গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়