পাবনার সুজানগর উপজেলার ভাঁয়না ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরের পতিত জমিতে বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষ নজর কেড়েছে সবার।
জানা যায়,ইউনিয়ন পরিষদের ৫০ শতক জমির মধ্য পরিষদের সামনের প্রায় ১৫ শতক জমি পতিত অবস্থায় ছিল।
সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.তরিকুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পরিদর্শনে গেলে কার্যালয়ের সামনের পতিত জমিতে সবজি চাষের পরামর্শ দেন ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনকে।এরপরপরই ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ইউপি সদস্যদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন শাকসবজি চাষ শুরু করেন। অফিস চলাকালীন সময়ের বাইরে সবজি ক্ষেত দেখাশোনা করেন স্থানীয়া।
পতিত জমির সদ্ব্যবহার ও পরিষদের সকলের সবজির চাহিদা পূরণ করতে পেরে খুশি চেয়ারম্যান,ইউপি সদস্যরা। স্থানীয়দের অনেকেও এখানকার সবজি তুলে পরিবারের চাহিদা মেটাচ্ছেন।পতিত জমিতে পুঁইশাক, লালশাক, টমেটো, পেঁয়াজ সহ বিভিন্ন সবজি করা হয়েছে।
রবিবার পৌর সদর থেকে দেখতে আসা সুজানগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী বলেন,পরিষদের চারদিকে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ দেখে খুব ভালো লাগলো।যেসব জায়গায় সবজির বাগান করা হয়েছে আগে তো এসব জায়গা নোংরা ছিল।এসব জায়গায় সবজি চাষ করার কারণে ইউনিয়ন পরিষদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভাঁয়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন বলেন,ইউএনও স্যার পরিষদের পতিত জমিতে সবজির চাষের পরামর্শ প্রদান করার পরপরই আমরা এই সবজি চাষ শুরু করি।
উপজেলা উপ সহকারী কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান জানান,কোন রকম রাসায়নিক সার ও বিষ প্রয়োগ না করে শুধুমাত্র জৈব সার ও জৈব বালাইনাশক ওষুধ প্রয়োগ করে পরিষদ চত্বরে এ সবজি চাষ শুরু করা হয়েছে।
কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম জানান,এ ধরণের কাজ দেখে অন্যরাও পতিত জমিতে সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ হবেন।এছাড়া কৃষি বিভাগ থেকে এ বিষয়ে সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.তরিকুল ইসলাম জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে দেশের পতিত থাকা প্রতি ইঞ্চি জমি কৃষিকাজের আওতায় আনতে হবে।প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে উপজেলার সরকারি-বেসরকারি যেসব অফিসের আনাচে-কানাচে পতিত জায়গা আছে সেখানেই সবজির বাগান করার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।তারই ধারাবাহিকতায় ভাঁয়না ইউপি কার্যালয়ের পতিত জমিতে সবজি চাষ করেছে ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা।এটি খুবই ভাল একটা উদ্যোগ।
তিনি আরো বলেন,কৃষকরাই যে কেবল কৃষিকাজ করবে তা কিন্তু নয়।যে কোন ব্যক্তি কৃষিকাজ করতে পারে।একজন ব্যক্তি চাকরিজীবি বা ব্যবসায়ী বা যে পেশাই নিয়োজিত থাকুক না কেন,তার হাতে কিছু না কিছু সময় থাকে।সেই সময়টুকু সে কৃষি কাজে ব্যয় করতে পারে।তাতে তারও লাভ,দেশেরও লাভ।