সাত দিনের ব্যবধানে আবারও মেয়ে হলেন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমনা আক্তার (১৬)।এই সুমনা মেয়ে থেকে ছেলেতে রুপান্তর হওয়ার দাবী স্বজনদের।
সূত্রমতে, গত (২২ মে) রাতে হঠাৎ করে সুমনা আক্তার ছেলেতে রুপান্তরিত হয়েছে।এমনি এক অদ্ভুত খবর এলাকায় চাউড় হলে উৎসুক জনতার ঢল নামতে থাকে ওই বাড়িতে।এরই মধ্যে রবিবার ভোরবেলায় ফের ছেলে থেকে মেয়েতে পরিনত হয়েছে বলে জানায় সুমনা ও স্বজনরা।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ঝাড়াবর্ষা গ্রামে।ওই গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও লাভলী বেগম দম্পত্তির সন্তান সুমনা আক্তার।
স্বজনরা জানায়, সুমনা আক্তার ছোট বেলা থেকেই ছেলেদের মত অঙ্গিভঙ্গি ভাবে চলছিল।এরই এক পর্যায়ে (২২ মে) রাতে প্রকৃতির খেয়ালে হঠাৎ করে সুমনার বুকের স্তন দেবে গিয়ে পুরুষের বুক ধারণ করে।একই সংগে পুরুষাঙ্গ সৃষ্টি হয়।এই ব্যাপারটি (২৩ মে) সকালে সুমনা আক্তার প্রথমে তার দাদিকে খুলে বলে।একপর্যায়ে বাবা ও মা সহ পরিবারের অন্যরাও নিশ্চিত হয়।এ নিয়ে পারিবারিক ভাবে দুশ্চিন্তায় পড়েন সবাই।এছাড়াও ঘটনাটি গোপন রাখেন তারা।
এরই ধারাবাহিকতায় (২৭ মে) ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়।সুমনা আক্তার মেয়ে থেকে ছেলেতে রুপান্তরিত হয়।এমন খবর পেয়ে শতশত মানুষ সুমনকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় জামায়।সেই সাথে সংবাদকর্মীদের কানে আসা এই ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়।এরপর এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় তোলপাড়।
সরেজমিনে (২৮ মে) রবিবার ওই বাড়িতে সাংবাদিকরা গেলে সুমনা আক্তার ও পরিবারের সদস্যরা জানায়, ভোরবেলায় হঠাৎ করেই আগের অবস্থায় ফিরে গেছে।অর্থাৎ মেয়ে থেকে ছেলেতে রুপান্তরিত সুমনা এখন মেয়েই।
এরপর বিকালে সুমনাকে নেয়া হয় সাঘাটা বোনারপাড়া বাজারস্থ চিকিৎসকের কাছে।
ঈসা মেডিসিন কর্ণার নামে একটি চেম্বারে বসা মেডিসিন গাইনি ও চর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ডা: মোছা: রাশেদা খাতুন প্রাথমিকভাবে সুমনা আক্তারকে নানাভাবে দেখার পর তিনি স্বজনদের বলেন ছেলে নয় মেয়েই রয়েছে সুমনা আক্তার।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিহাল খান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।