মাগুরার শালিখায় রোগ থেকে মুক্তি লাভ, মনোবাসনা পূর্ণ, বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পেতে শত মানুষ গঙ্গা জলে স্নান করেছেন।
শালিখা উপজেলার ফটকী নদীর গঙ্গার ঘাটে আজ মঙ্গলবার প্রভাত কাল থেকে মধ্য বেলা অবধি হাতে ডাব, গাব, ধান, দূর্বাঘাস, কলার পাতা, তালের পাতা, চিনি, লবণ, নিয়ে বিভিন্ন পূণ্য প্রত্যাশীরা স্নান করছেন।পাশাপাশি ডাব, গাব ছিন্নিসহ বিভিন্ন মানসা সামগ্রী ছুঁড়ে দিচ্ছেন গঙ্গার জলে।
যষ্টি মাসের শুকলা তিথিতে চলা এ গঙ্গা স্নানে মাগুরা জেলার বিভিন্ন উপজেলার পূণ্যার্থীরাসহ পার্শ্ববর্তী যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদাহ থেকেও এখানে স্নান করতে আসে।
জানা গেছে শুধু চুকি নগর গঙ্গা ঘাটে নয়, শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় যেখানে নদী আছে সেখানেও এই গঙ্গা স্নান অনুষ্ঠিত হয়।
চুকি নগর স্নান কমিটির সভাপতি সুকুমার মন্ডল বলেন, কথিত আছে শত শত বছর পূর্বে হিন্দু সম্প্রদায়ের মহাপ্রভু গৌরঙ্গী এই গঙ্গাঘাটে গোসল করে তালখড়ি লোকনাথ আশ্রমে গিয়ে লোকনাথ গোস্বামীর সাথে দেখা করে।পরে তিনি এই নদীপথে ভারতে চলে যান তারপর থেকেই মানুষ রোগ মুক্তি সহ নানাবিধ বিপদ থেকে মুক্তির আশায় এই গঙ্গাঘাটে স্নান করে তিনি আরো বলেন এখানে হিন্দু মুসলিম সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক স্নান করতে আসেন।
গঙ্গা ঘাটে স্নান করতে আসা নমিতা রায় বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে এই গঙ্গাঘাটে প্রতিবছর স্নান করতে আসি এবং গঙ্গা মাতার কাছে রোগ মুক্তির প্রার্থনা করি সাথে গঙ্গা মন্দিরে পূজা পার্বণ সম্পন্ন করি।
স্নান করতে আসা শুভঙ্কর নামে আর একজন পূণ্যার্থী বলেন, এখানে আমি এই দ্বিতীয়বার আসলাম শুনেছি এখানে স্নান করলে নাকি বিভিন্ন বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
গঙ্গা স্নান কমিটির সাধারণ সম্পাদক শীতান চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, রোগ মুক্তির মালিক ঈশ্বর তাই ঈশ্বরের উপর ভরসা রেখে এখানে অসংখ্য মানুষ স্নান করতে আসে তবে এখানে স্নান করার জন্য কাউকে বাধ্য করা হয় না বলেও জানান তিনি।
প্রতিবছর যষ্টি মাসের শুক্লা তিথিতে অনুষ্ঠিত এ গঙ্গাস্থান প্রভাত কাল থেকে মধ্যমালা অবধি চলতে থাকে তবে দিনভর চলে এ উপলক্ষে আয়োজিত গ্রামীণ মেলা।যেখানে নানা ধরনের খাবার, খেলনা সামগ্রী, চুরি ফিতা সহ পূজার সামগ্রী ক্রয় বিক্রয় করতে দিনভর মানুষ ভিড় জমায়।