খুলনার পাইকগাছায় আঁশফল বা কাঠলিচু বাম্পার ফলন হয়েছে।বানিজ্যিক ভাবে চাষ না হলেও উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে বাড়ির আঙ্গিনা, পুকুর পাড় ও বাগানে এ ফলের গাছ বেশ দেখাযায়।এ গাছে এখন ফলে ভর্তি।
আঁশফল বা কাঠলিচু ক্রান্তীয় অঞ্চলের গাছ।দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উদ্ভিদ হলেও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের অনেক জায়গায় এ গাছ দেখা যায়।বিশেষ করে পাইকগাছার রাড়ুলী, হরিঢালী, কপিলমুনি, গদাইপুর, চাঁদখালী ইউনিয়নে বেশ গাছ দেখা যায়।
৬ থেকে ৮ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।কাঠলিচু ফল গাছ মধ্যম আকারের চিরসবুজ গাছ।ফলবিহীন গাছ দেখলে মনে হবে লিচুগাছ।এটি লিচু জাতীয় খুবই সুস্বাদু ফল।
এ ফল ও লিচু গাছের ফল ধরার সময় একই।ফল দেখতেও অনেকটা লিচুর মতো, গোলাকার।বীজও গোলাকার।তবে আকারে ছোট, রসাল অংশ খুবই কম।লিচুর চেয়ে আমিষের পরিমাণ বেশি।
বাণিজ্যিকভাবে চাষ না হলেও গ্রামের হাট-বাজারে আঁশফল বিক্রি হতে দেখা যায়।আমিষগুণে ভরা এ ফলের কদর থাকলেও পরিচিতি কম।ফলনের সময় আগস্ট-সেপ্টেম্বরে।
ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী জানান আঁশফলের চাহিদা আগের তুলনায় অনেক বেশি আগে এগুলো বাজার ঘাটে বিক্রি কম হতে দেখা যেত এখন বাজারে আনার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি হয় ২০টি আঁশফল কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
পুষ্টিগুণ: এ ফলে প্রচুর শর্করা, ভিটামিন-সি এবং খনিজ উপাদান আছে।প্রতি ১০০ গ্রাম অংশে-
• ৭২ গ্রাম পানি• ১০৯ কিলোক্যালরি শক্তি• ৮.০ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি• ২৮০ আইইউ ভিটামিন-এ• ২.০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম• ৬.০ মিলিগ্রাম ফসফরাস• ১.০ গ্রাম প্রোটিন• ০.৫ গ্রাম ফ্যাট বিদ্যমান।