জাবেদুল ইসলামের দুইটি কবিতা

- আপডেট সময় : ১২:০৮:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩ ৮২ বার পড়া হয়েছে

কবিতা: মা
মোঃ জাবেদুল ইসলাম
পৃথিবীতে সবার মাঝে জেগে থাকে মা,
মায়ের মতন এতো আপন আরতো হয় না।
মা’য়ের কোলে দোলে দোলে ঘুম পেরেছি কত,
মায়ের কোলে ঘুমের প্রশান্তি হয় না কভু অতো।
মা আমার পরম যত্নের আদর মাখা সোহাগ,
মা আমার গল্প বলা হাসি খুশির এক খোরাক।
আমার প্রিয় মা মনি আমার প্রিয় শিক্ষক।
মা আমার গর্ভধারনী আমারই সে অভিভাবক।
বিপদের সময় মায়েই আমায় আগলে ধরে থাকে।
ভালো বাসলাম যারে আমি সে থাকে ফাঁকে ফাঁকে।
অসুখ বিসুখ হলেও বেশ সেবা দেয় সে যে মা।
তাহার চেয়ে শ্রেষ্ঠ সেবক আর হয় না তুলনা।
মা অতি মমতাময়ী আর ধৈর্য ধারণী।
মা আমার জীবন চলার পাশে শারথী।
মা আমার প্রেরণা জোগায় সাহস জোগায় প্রচুর।
মায়ের মুখের গল্প শুনে কার আসে না ঘুম?
কবিতা: রমনীগঞ্জে বাড়ি
মোঃ জাবেদুল ইসলাম
রমনীগঞ্জে বাড়ি আমার,
রমনীগঞ্জে ঘর।
মিলেমিশে থাকি মোরা,
সবাই আপন পর।
রমনীগঞ্জের মানুষ গুলো,
অতি সহজ সরল।
সুখে দুঃখে পাশাপাশি,
থাকি একে অপর।
যদি কারো হঠাৎ করে,
চলে আসে বিপদ।
পাড়া-প্রতিবেশী মিলে সবাই,
দুর করি সব আপদ।
রমনীগঞ্জের মানুষ গুলো,
খুবেই পরিশ্রমি।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে,
চাষ করি জমি।
ধান- পাট, ভুট্টা ফলাই,
আরো ফলাই ডাউল।
আলু কপি, মুলা ফলাই
আরও ফলাই ছিম।
বয়লারের ফার্ম আছে,
বড়ো বড়ো ডিম।
রমনীগঞ্জের পাড়ায় পাড়ায়,
আছে বাঁশের ঝাড়।
বাতাসেতে নুয়ে পড়ে,
খায় শুধু আছার।
রমনীগঞ্জের পাড়ায় আছে,
দুটি শিক্ষালয়।
সর্বপ্রথম একই নাম,
দুইটি বিদ্যালয়।
দুই বিদ্যালয়ের সামনে,
একটা ইয়া বড়ো মাঠ।
বিনোদন হয় সেথায়,
হয় সবাই জমাট।
রমনীগঞ্জের নামটি হলো
ভারী সুন্দর।
চারপাশে ঘিরে আছে,
সবুজ আর শ্যামল।
রমনীগঞ্জে বাড়ি আমার,
রমনীগঞ্জে ঘর।
রমনীগঞ্জের স্মৃতি নিয়ে
যেন বাঁচি জীবন ভর।