ঢাকা ১০:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
মানুষ মনে করে,দেশের সব মদ আমিই খাই : পরী মণি সাংবাদিক আনহার বিন সাইদ এর প্রবাস যাত্রায় বিশ্বনাথ উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবর্ধনা প্রদান ধামইরহাটে ভুট্টার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ মাওলানা শামছুল ইসলাম আমের বাণিজ্যিক রাজধানী সাপাহারে চলছে পরিপক্ক আম কেনাবেচা মধুপুরে জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ ভাঙ্গায় অবৈধ স্থাপনাসহ ১৫০ দোকানপাট দখলমুক্ত কমলনগরে ছাত্রলীগের ৬ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত শিশু শাহজাহানকে উদ্ধার করল গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ দাইপুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত

গোবিন্দগঞ্জে দেবরের অত্যাচারে অতিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী

আঃ খালেক মন্ডল,গাইবান্ধা :
  • আপডেট সময় : ১১:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩ ৪১ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দেবরের অত্যাচারে অতিষ্ট একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন (৩৪) অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে চান।

ইতোমধ্যেই তাকে তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে নানা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে তিনি নিরুপায় হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের পান্তাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এমএমএইচ মাসুদ রানা পুলিশের সাব ইন্সপেকটর ছিলেন।গত ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।এরপর থেকেই মেয়ে মাইশা (১৪) ও ছেলে মোহাম্মদ মাহদীকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই বাস করে আসছেন তার বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন।

কিন্তু বিভিন্ন সময়ে তার দেবর আল-আমিন হোসেন (২৯) সেই বাড়ি থেকে তাকে উচ্ছেদ করার নানা ষড়যন্ত্র করে আসছেন বলে অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন।

এরই এক পর্যায়ে তিনি বুধবার বাহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী যুবকদের সাথে নিয়ে আল-আমিন অসহায় হালিমা খাতুনের বাড়ির সকল গেটে তালা লাগিয়ে দেন।এসময় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হালিমা বেগমকে বাড়ি ছাড়তে নানা ধরণের হুমকি ধামকি দেয় এবং গালিগালাজ করেন।পরে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হালিমা বেগম জানান, আমার দেবর আল আমিন নানা সময়ে আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং আমার মেয়ে সহ আমাকে মারধর করেন।এরই এক পর্যায়ে আমার বাড়ির দরজার তালা এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ঘরে অনধিকার প্রবেশের চেষ্টা করেন।এছাড়াও আমার বসত ঘরের দরজার সামনে একটি সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দিয়েছে।এতে আমার নিজ বাড়িতে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারিনা।

অভিযুক্ত আল-আমিন হোসেনের সাথে দেখা করে তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং ক্যামেরার সামনে থেকে দ্রুত সটকে পড়েন।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইজার উদ্দিন অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

গোবিন্দগঞ্জে দেবরের অত্যাচারে অতিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী

আপডেট সময় : ১১:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দেবরের অত্যাচারে অতিষ্ট একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন (৩৪) অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে চান।

ইতোমধ্যেই তাকে তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে নানা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে তিনি নিরুপায় হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের পান্তাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এমএমএইচ মাসুদ রানা পুলিশের সাব ইন্সপেকটর ছিলেন।গত ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।এরপর থেকেই মেয়ে মাইশা (১৪) ও ছেলে মোহাম্মদ মাহদীকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই বাস করে আসছেন তার বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন।

কিন্তু বিভিন্ন সময়ে তার দেবর আল-আমিন হোসেন (২৯) সেই বাড়ি থেকে তাকে উচ্ছেদ করার নানা ষড়যন্ত্র করে আসছেন বলে অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন।

এরই এক পর্যায়ে তিনি বুধবার বাহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী যুবকদের সাথে নিয়ে আল-আমিন অসহায় হালিমা খাতুনের বাড়ির সকল গেটে তালা লাগিয়ে দেন।এসময় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হালিমা বেগমকে বাড়ি ছাড়তে নানা ধরণের হুমকি ধামকি দেয় এবং গালিগালাজ করেন।পরে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হালিমা বেগম জানান, আমার দেবর আল আমিন নানা সময়ে আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং আমার মেয়ে সহ আমাকে মারধর করেন।এরই এক পর্যায়ে আমার বাড়ির দরজার তালা এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ঘরে অনধিকার প্রবেশের চেষ্টা করেন।এছাড়াও আমার বসত ঘরের দরজার সামনে একটি সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দিয়েছে।এতে আমার নিজ বাড়িতে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারিনা।

অভিযুক্ত আল-আমিন হোসেনের সাথে দেখা করে তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং ক্যামেরার সামনে থেকে দ্রুত সটকে পড়েন।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইজার উদ্দিন অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।