ঢাকা ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
২১১৫ পিস ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে মাদক ব্যবসায়ী উজ্জল আটক ডিবির হাতে ইয়াবাসহ নারী মাদক কারবারি আটক বাঘায় আদালতের রায় উপেক্ষা করে জমি জবরদখল চেষ্টা,প্রতিবাদে মানববন্ধন লালমনিরহাট -১ আসনে আনোয়ারুল ইসলাম রাজুকে এমপি হিসেবে দেখতে চায় জনগণ শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বের ছোঁয়ায় দেশ বদলে গেছে : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অগণতান্ত্রিক সরকারকে হঠাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : নিতাই রায় চৌধুরী রুয়েটে ক্লাস শুরু ৩০ সেপ্টেম্বর,র‍্যাগিংয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩১৫ বি১, বাংলাদেশ এর শুকরানা দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত নিন্দুককে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে ডা: তহিদ রাসেল ফিরতে চান নতুন রুপে বর্ণিল আয়োজনে জয়নিউজ বিডি ডট কমের ৫ম বর্ষপূর্তি উদযাপন

গলাচিপায় হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দিরে গভীর নলকূপের অভাবে ভক্তদের ভোগান্তি

সঞ্জিব দাস,গলাচিপা(পটুয়াখালী)
  • আপডেট সময় : ০৫:১৪:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩ ১২৮ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পটুয়াখালীর গলাচিপায় হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দিরে গভীর নলকূপের অভাবে ভক্তদের ভোগান্তি বাধ্য হয়ে পুকুরের অস্বাস্থ্যকর পানি খাচ্ছে ভক্তবৃন্দ ও পূন্যার্থীরা।

জানা যায়,উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাতাবুনিয়া গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দির অবস্থিত। মন্দিরটিতে প্রতি বছর চৈত্র মাসের ৭ তারিখে ৩ দিন ব্যাপী বাৎসরিক অনুষ্ঠান হয়। সেখানে হাজার হাজার ভক্তদের আগমন ঘটে। ১৪২১ বাংলা সনে স্থাপিত হলেও এখানো কোন সরকারি অনুদানের ছোঁয়া লাগেনি মন্দিরটিতে।এমনকি আগত ভক্তবৃন্দ সহ সাধারণ মানুষ পুকুরের পানি ফুটিয়ে পান করছে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সবাই।

এ বিষয়ে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দিরের ভক্ত পলাশ হাওলাদার, কমল সরকার, মিনতী রানী, জয়দেব সাধু এরা জানান, আমাদের এ মন্দিরটিতে প্রতি বছর বাৎসরিক অনুষ্ঠানে অনেক ভক্ত সমাগম হয়। কিন্তু মন্দিরে কোন টিউবওয়েল না থাকায় আমরা পুকুরের জলে ফিটকিরি দিয়ে ও ফুঁটিয়ে পান করি।এতে প্রায় সময়ই আমাদের পেটের পীড়া দেখা দেয়।অনেকের মাঝে আবার ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। তাই সরকারিভাবে আমাদের জন্য নিরাপদ জলের ব্যবস্থা করে দিলে আমরা বিভিন্ন রোগ থেকে রেহাই পেতাম।

এ বিষয়ে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দিরের পুরোহিত দেবলা সুন্দরী জানান,আমি এই মন্দিরে প্রতিদিন তিন বেলা পূজা অর্চনা করি। প্রতি বছর মন্দিরে অনেক ভক্ত সমাগম হয়। এখানে প্রসাদের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়ে এখানে কোন গভীর নলকূপ নেই। সরকারিভাবে আমরা এখানে একটা টিউবওয়েল চাই।

এ বিষয়ে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দির কমিটির সভাপতি রবীন্দ্র চন্দ্র হাওলাদার জানান,মন্দিরটি প্রায় ৮ বছর আগে স্থাপিত হয়েছে। সরকারি কোন অনুদান আমরা পাইনি। নিজস্ব অর্থায়নে কোন রকম চলে মন্দিরের কাজ।বাৎসরিক ৩ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান হয়। দূরদূরান্ত থেকে ভক্তদের আগমন হয় এখানে। আমাদের এ মন্দিরে কোন টিউবওয়েল না থাকায় অনেক দূর থেকে পানি আনতে হয়। অনেক সময় দূরত্বের কারণে পুকুরের জল পান করে অনেকে।এতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে।

তিনি আরো বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। যাতে এই মন্দিরে টিউবওয়েল পেতে পারি।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাফর খান বলেন,আসলেই মন্দিরটি একটি জাকজমকপূর্ণ পরিবেশে অবস্থিত।একটি টিউবওয়েল হলে মন্দিরটি পূর্ণতা পাবে বলে আমার বিশ্বাস।

বকুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান,বিষয়টি আমি শুনেছি।এমপি মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

গলাচিপায় হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দিরে গভীর নলকূপের অভাবে ভক্তদের ভোগান্তি

আপডেট সময় : ০৫:১৪:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩

পটুয়াখালীর গলাচিপায় হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দিরে গভীর নলকূপের অভাবে ভক্তদের ভোগান্তি বাধ্য হয়ে পুকুরের অস্বাস্থ্যকর পানি খাচ্ছে ভক্তবৃন্দ ও পূন্যার্থীরা।

জানা যায়,উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাতাবুনিয়া গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দির অবস্থিত। মন্দিরটিতে প্রতি বছর চৈত্র মাসের ৭ তারিখে ৩ দিন ব্যাপী বাৎসরিক অনুষ্ঠান হয়। সেখানে হাজার হাজার ভক্তদের আগমন ঘটে। ১৪২১ বাংলা সনে স্থাপিত হলেও এখানো কোন সরকারি অনুদানের ছোঁয়া লাগেনি মন্দিরটিতে।এমনকি আগত ভক্তবৃন্দ সহ সাধারণ মানুষ পুকুরের পানি ফুটিয়ে পান করছে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সবাই।

এ বিষয়ে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দিরের ভক্ত পলাশ হাওলাদার, কমল সরকার, মিনতী রানী, জয়দেব সাধু এরা জানান, আমাদের এ মন্দিরটিতে প্রতি বছর বাৎসরিক অনুষ্ঠানে অনেক ভক্ত সমাগম হয়। কিন্তু মন্দিরে কোন টিউবওয়েল না থাকায় আমরা পুকুরের জলে ফিটকিরি দিয়ে ও ফুঁটিয়ে পান করি।এতে প্রায় সময়ই আমাদের পেটের পীড়া দেখা দেয়।অনেকের মাঝে আবার ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। তাই সরকারিভাবে আমাদের জন্য নিরাপদ জলের ব্যবস্থা করে দিলে আমরা বিভিন্ন রোগ থেকে রেহাই পেতাম।

এ বিষয়ে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দিরের পুরোহিত দেবলা সুন্দরী জানান,আমি এই মন্দিরে প্রতিদিন তিন বেলা পূজা অর্চনা করি। প্রতি বছর মন্দিরে অনেক ভক্ত সমাগম হয়। এখানে প্রসাদের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়ে এখানে কোন গভীর নলকূপ নেই। সরকারিভাবে আমরা এখানে একটা টিউবওয়েল চাই।

এ বিষয়ে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দির কমিটির সভাপতি রবীন্দ্র চন্দ্র হাওলাদার জানান,মন্দিরটি প্রায় ৮ বছর আগে স্থাপিত হয়েছে। সরকারি কোন অনুদান আমরা পাইনি। নিজস্ব অর্থায়নে কোন রকম চলে মন্দিরের কাজ।বাৎসরিক ৩ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান হয়। দূরদূরান্ত থেকে ভক্তদের আগমন হয় এখানে। আমাদের এ মন্দিরে কোন টিউবওয়েল না থাকায় অনেক দূর থেকে পানি আনতে হয়। অনেক সময় দূরত্বের কারণে পুকুরের জল পান করে অনেকে।এতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে।

তিনি আরো বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। যাতে এই মন্দিরে টিউবওয়েল পেতে পারি।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাফর খান বলেন,আসলেই মন্দিরটি একটি জাকজমকপূর্ণ পরিবেশে অবস্থিত।একটি টিউবওয়েল হলে মন্দিরটি পূর্ণতা পাবে বলে আমার বিশ্বাস।

বকুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান,বিষয়টি আমি শুনেছি।এমপি মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিব।