ঢাকা ০৪:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
বাগেরহাটে পুত্রের যাবজ্জীবন সাজা থেকে দ্বায়মুক্ত ও বেকসুর খালাস চেয়ে পিতার সংবাদ সম্মেলন শিবগঞ্জে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা শিবগঞ্জে ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা নন্দীগ্রামে তালগাছের চারা রোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন লাখাইয়ে বিশ্ব তামাক দিবসে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত লাখাইয়ে এক জুয়ারি আটক,৫ জুয়ারি পলাতক নড়াইল পৌরবাসীর বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েই গেছে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের আয়োজনে ‘এলপিজি নাইট’ অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে “মোটিভেশনাল অন এ্যাকরেডিটেশন ইন হায়ার এডুকেশন” শীর্ষক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ স্থলবন্দর শ্রমিক লীগ বুড়িমারী শাখার বেআইনী কার্যক্রম বন্ধে শ্রম মহাপরিচালককে অভিযোগ

শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে সহস্র রোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • আপডেট সময় : ০২:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩ ৭৬ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় অবস্থিত ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।হাসপাতালটি আজ জেলার বিভিন্ন দুর্গম চরাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত এলাকার সকল শ্রেণির মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির ভরসার নাম।প্রতিদিনই সিরাজগঞ্জ ছাড়াও আশে-পাশের অন্যান্য জেলা থেকেও স্বাস্থ্যসেবা নিতে এই হাসপাতালে এসে ভিড় করে অসংখ্য মানুষ।

সিরাজগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের তথ্য মতে, ২০১৫ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়ে ২০২২ সালের জুন মাসে শেষ হয় ৬৫ আসনবিশিষ্ট মেডিকেল কলেজের সঙ্গে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট এই আধুনিক হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ প্রকল্পটি নির্মাণ ব্যয় হচ্ছে ৫৩২ কোটি টাকা।নিমার্ণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান কার্যক্রম শুরু করে ২০২১ সালের ২ আগষ্ট।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে নানা ধরনের জটিল রোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন এমন প্রায় এক হাজার রোগী প্রতিদিন এই হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে।এদের মধ্যে অনেকে হাসপাতালের বর্হিবিভাগের পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি থেকে নিচ্ছে বিশেষ চিকিৎসাসেবা।

হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, প্রতিমাসে দূর-দূরান্ত থেকে প্রায় ২৮ থেকে ৩০ হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে এখানে আসে।

তিনি বলেন, সরকারের দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে এখানে একটি আধুনিক মেডিকেল কলেজসহ হাসপাতাল নির্মিত হয়েছে, এর ফলে সিরাজগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলোর মানুষ এখানে সহজে চিকিৎসাসেবা নেওয়ার জন্য আসতে পারে।এ ছাড়া এই জেলার সঙ্গে অন্যান্য জেলার যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ থাকায় দূর-দূরান্তের রোগীদের এখানে  পৌঁছাতে ভোগান্তি পোহাতে হয় না, বিভিন্ন চরাঞ্চলের মানুষও সহজে এখানে এসে সেবা নিতে পারে।

তিনি জানান, হাসপাতালের বেড সারাক্ষণ পূর্ণ থাকে।রোগীদের ব্যবস্থাপত্রের পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে প্রয়োজন মতো ওষুধও সরবরাহ করা হচ্ছে।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই হাসপাতালের ডাক্তারদের সেবার মান খুবই ভালো।তাঁরা যত্নের সঙ্গে দেখাশুনা করে এবং দীর্ঘক্ষণ রোগীর সঙ্গে কথা বলে রোগের সঠিক তথ্য জেনে রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দেন।

জানা যায়, প্রতিদিন এত সংখ্যক রোগীকে নিরবিচ্ছিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দিতে হাসপাতালটিতে রাজস্ব খাতে কর্মরত আছেন ৩২৪।এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির ৭৬টি পদের (ডাক্তার) বিপরীতে নিয়োজিত আছেন ৬৯ জন।এর মধ্যে ১ জন পরিচালক, ১ জন উপপরিচালক, ১ জন সহকারী পরিচালক, ২ জন জুনিয়র কনসালটেন্ট, ৫ জন রেসিডেন্ট সার্জন, ৩ জন অ্যানেসথেসিওলজিস্ট, ৫৪ জন সহকারী সহকারী সার্জন/রেজিস্ট্রার এবং ৪ জন সহকারী ডেন্টাল সার্জন আছেন।

হাসপাতালটিতে দ্বিতীয় শ্রেণির ১৭৩টি পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত আছেন ১৬৬ জন।এদের মধ্যে সিনিয়র স্টাফ নার্স ১৬৪ জন, নার্সিং সুপারভাইজার আছেন ২ জন।এ ছাড়া তৃতীয় শ্রেণির বিভিন্ন পদে কাজ করছেন ১৯ জন।আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ১৮২ জন নিয়োজিত আছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে সহস্র রোগী

আপডেট সময় : ০২:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় অবস্থিত ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।হাসপাতালটি আজ জেলার বিভিন্ন দুর্গম চরাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত এলাকার সকল শ্রেণির মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির ভরসার নাম।প্রতিদিনই সিরাজগঞ্জ ছাড়াও আশে-পাশের অন্যান্য জেলা থেকেও স্বাস্থ্যসেবা নিতে এই হাসপাতালে এসে ভিড় করে অসংখ্য মানুষ।

সিরাজগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের তথ্য মতে, ২০১৫ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়ে ২০২২ সালের জুন মাসে শেষ হয় ৬৫ আসনবিশিষ্ট মেডিকেল কলেজের সঙ্গে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট এই আধুনিক হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ প্রকল্পটি নির্মাণ ব্যয় হচ্ছে ৫৩২ কোটি টাকা।নিমার্ণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান কার্যক্রম শুরু করে ২০২১ সালের ২ আগষ্ট।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে নানা ধরনের জটিল রোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন এমন প্রায় এক হাজার রোগী প্রতিদিন এই হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে।এদের মধ্যে অনেকে হাসপাতালের বর্হিবিভাগের পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি থেকে নিচ্ছে বিশেষ চিকিৎসাসেবা।

হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, প্রতিমাসে দূর-দূরান্ত থেকে প্রায় ২৮ থেকে ৩০ হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে এখানে আসে।

তিনি বলেন, সরকারের দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে এখানে একটি আধুনিক মেডিকেল কলেজসহ হাসপাতাল নির্মিত হয়েছে, এর ফলে সিরাজগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলোর মানুষ এখানে সহজে চিকিৎসাসেবা নেওয়ার জন্য আসতে পারে।এ ছাড়া এই জেলার সঙ্গে অন্যান্য জেলার যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ থাকায় দূর-দূরান্তের রোগীদের এখানে  পৌঁছাতে ভোগান্তি পোহাতে হয় না, বিভিন্ন চরাঞ্চলের মানুষও সহজে এখানে এসে সেবা নিতে পারে।

তিনি জানান, হাসপাতালের বেড সারাক্ষণ পূর্ণ থাকে।রোগীদের ব্যবস্থাপত্রের পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে প্রয়োজন মতো ওষুধও সরবরাহ করা হচ্ছে।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই হাসপাতালের ডাক্তারদের সেবার মান খুবই ভালো।তাঁরা যত্নের সঙ্গে দেখাশুনা করে এবং দীর্ঘক্ষণ রোগীর সঙ্গে কথা বলে রোগের সঠিক তথ্য জেনে রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দেন।

জানা যায়, প্রতিদিন এত সংখ্যক রোগীকে নিরবিচ্ছিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দিতে হাসপাতালটিতে রাজস্ব খাতে কর্মরত আছেন ৩২৪।এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির ৭৬টি পদের (ডাক্তার) বিপরীতে নিয়োজিত আছেন ৬৯ জন।এর মধ্যে ১ জন পরিচালক, ১ জন উপপরিচালক, ১ জন সহকারী পরিচালক, ২ জন জুনিয়র কনসালটেন্ট, ৫ জন রেসিডেন্ট সার্জন, ৩ জন অ্যানেসথেসিওলজিস্ট, ৫৪ জন সহকারী সহকারী সার্জন/রেজিস্ট্রার এবং ৪ জন সহকারী ডেন্টাল সার্জন আছেন।

হাসপাতালটিতে দ্বিতীয় শ্রেণির ১৭৩টি পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত আছেন ১৬৬ জন।এদের মধ্যে সিনিয়র স্টাফ নার্স ১৬৪ জন, নার্সিং সুপারভাইজার আছেন ২ জন।এ ছাড়া তৃতীয় শ্রেণির বিভিন্ন পদে কাজ করছেন ১৯ জন।আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ১৮২ জন নিয়োজিত আছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।