শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাইফুল ইসলামকে ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চায় শিবগঞ্জ উপজেলাবাসী নড়াইলে পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের র‍্যাঙ্ক ব্যাজ পরালেন এসপি সরিষাবাড়ীতে স্কুল ছাত্র উজ্জল হত্যা,খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন গলাচিপায় স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অনশন নড়াইলে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ দুইজন গ্রেফতার নাগেশ্বরীতে প্রাণী সম্পদের মেলা,জানেনা খামারীরা কেশবপুরে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা কেশবপুরে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার ওয়ারেশগণের সংবাদ সম্মেলন নড়াইলে চোরাই মোটরসাইকেলসহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের দুইজন গ্রেফতার শ্বশুরবাড়ী বেড়াতে এসে সুন্দরবনে হরিণ শিকারের চেষ্টা,ফাঁদসহ আটক জুয়েল
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে সহস্র রোগী

রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় অবস্থিত ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।হাসপাতালটি আজ জেলার বিভিন্ন দুর্গম চরাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত এলাকার সকল শ্রেণির মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির ভরসার নাম।প্রতিদিনই সিরাজগঞ্জ ছাড়াও আশে-পাশের অন্যান্য জেলা থেকেও স্বাস্থ্যসেবা নিতে এই হাসপাতালে এসে ভিড় করে অসংখ্য মানুষ।

সিরাজগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের তথ্য মতে, ২০১৫ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়ে ২০২২ সালের জুন মাসে শেষ হয় ৬৫ আসনবিশিষ্ট মেডিকেল কলেজের সঙ্গে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট এই আধুনিক হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ প্রকল্পটি নির্মাণ ব্যয় হচ্ছে ৫৩২ কোটি টাকা।নিমার্ণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান কার্যক্রম শুরু করে ২০২১ সালের ২ আগষ্ট।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে নানা ধরনের জটিল রোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন এমন প্রায় এক হাজার রোগী প্রতিদিন এই হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে।এদের মধ্যে অনেকে হাসপাতালের বর্হিবিভাগের পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি থেকে নিচ্ছে বিশেষ চিকিৎসাসেবা।

হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, প্রতিমাসে দূর-দূরান্ত থেকে প্রায় ২৮ থেকে ৩০ হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে এখানে আসে।

তিনি বলেন, সরকারের দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে এখানে একটি আধুনিক মেডিকেল কলেজসহ হাসপাতাল নির্মিত হয়েছে, এর ফলে সিরাজগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলোর মানুষ এখানে সহজে চিকিৎসাসেবা নেওয়ার জন্য আসতে পারে।এ ছাড়া এই জেলার সঙ্গে অন্যান্য জেলার যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ থাকায় দূর-দূরান্তের রোগীদের এখানে  পৌঁছাতে ভোগান্তি পোহাতে হয় না, বিভিন্ন চরাঞ্চলের মানুষও সহজে এখানে এসে সেবা নিতে পারে।

তিনি জানান, হাসপাতালের বেড সারাক্ষণ পূর্ণ থাকে।রোগীদের ব্যবস্থাপত্রের পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে প্রয়োজন মতো ওষুধও সরবরাহ করা হচ্ছে।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই হাসপাতালের ডাক্তারদের সেবার মান খুবই ভালো।তাঁরা যত্নের সঙ্গে দেখাশুনা করে এবং দীর্ঘক্ষণ রোগীর সঙ্গে কথা বলে রোগের সঠিক তথ্য জেনে রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দেন।

জানা যায়, প্রতিদিন এত সংখ্যক রোগীকে নিরবিচ্ছিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দিতে হাসপাতালটিতে রাজস্ব খাতে কর্মরত আছেন ৩২৪।এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির ৭৬টি পদের (ডাক্তার) বিপরীতে নিয়োজিত আছেন ৬৯ জন।এর মধ্যে ১ জন পরিচালক, ১ জন উপপরিচালক, ১ জন সহকারী পরিচালক, ২ জন জুনিয়র কনসালটেন্ট, ৫ জন রেসিডেন্ট সার্জন, ৩ জন অ্যানেসথেসিওলজিস্ট, ৫৪ জন সহকারী সহকারী সার্জন/রেজিস্ট্রার এবং ৪ জন সহকারী ডেন্টাল সার্জন আছেন।

হাসপাতালটিতে দ্বিতীয় শ্রেণির ১৭৩টি পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত আছেন ১৬৬ জন।এদের মধ্যে সিনিয়র স্টাফ নার্স ১৬৪ জন, নার্সিং সুপারভাইজার আছেন ২ জন।এ ছাড়া তৃতীয় শ্রেণির বিভিন্ন পদে কাজ করছেন ১৯ জন।আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ১৮২ জন নিয়োজিত আছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − 3 =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x