বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাগমারাবাসীর সেবা করে যেতে চাই-এমপি আবুল কালাম আজাদ প্রচন্ড দাবদাহে পথচারী ও শ্রমজীবীদের মধ্যে হাতীবান্ধায় শরবত বিতরণ কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছালাম মৃধার উঠান বৈঠকে জনতার ঢল নিজেই এখন গরম ও লোডশেডিং চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দুঃখ প্রকাশ,দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার আশুলিয়ায় জাতীয় শ্রমিক লীগের মে দিবসের প্রস্তুতি সভা মাদক অপরাধ করতে উৎসাহিত করে : রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর আদালতের নির্দেশে বগুড়ার নন্দীগ্রাম থেকে উদ্ধার হওয়া মূর্তি মহাস্থান জাদুঘরে হস্তান্তর লিগ্যাল এইড’র পক্ষ থেকে রাসিক মেয়রকে সম্মাননা স্মারক প্রদান
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

রাজশাহীতে নবজাতক চুরি’র ঘটনায় মোটা অংকের বাণিজ্যের অভিযোগ

রাজশাহীতে নবজাতক চুরির ঘটনায় সুকৌশলে মামলা গ্রহন ও আসামী গ্রেফতার না করে মোটা অংকের উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।

মাদকসহ ডা: রিমনকে আটক করে ঘটনাস্থলে ১ লাখ টাকায় ছেড়ে আসেন রাজপাড়া থানা পুলিশ।পরে অবশ্যই আইওয়াশের নামে মানবপাচারের মামলা নেয় থানা পুলিশ।

রাজপাড়া থানার ওসি অস্থায়ী দ্বায়িত্ব পালনকারী এস আই কাজন নন্দী রয়েল হাসপাতাল কতৃপক্ষের নিকট থেকে উক্ত টাকা গ্রহন করেন তথ্য উপাত্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গত ২১ মে (রোববার) লক্ষিপুর রয়েল হাসপাতালে নবজাতক চুরি’র ঘটনায় এমন বানিজ্য হয়েছে।কয়েক দফায় এস আই কাজল নন্দি’র সঙ্গে বৈঠক শেষে উক্ত ১ লাখ টাকা প্রদান করা হয়।অবশ্য উক্ত ঘটনায় নবজাতকের মা, নগরীর তালাইমারী এলাকার সৈয়দা তামান্না আখতার বাদি হয়ে চারজনকে আসামী করে মামলা করেন।

থানা সুত্রে জানা যায়, রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া এলাকার রয়েল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক নিশাত আনাম বর্ণা ও অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের চিকিৎসক আলী চৌধুরী রিমনসহ চার জনকে আসামি করা হয়েছে।মানবপাচার আইনে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ,তামান্না আখতারের গর্ভে দুটি সন্তান ছিল।বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সৈয়দা তামান্না আখতারের প্রসব বেদনা উঠলে রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার রয়েল হাসপাতালে যান।এক ঘণ্টা পর রোগীকে ওটি থেকে বের করা হয়।সেখানে ওটিতে নেওয়ার পর রোগীকে অ্যানেস্থেসিয়ার (অজ্ঞান করার) ইনজেকশনও দেওয়া হয়।এরপর তিনি বাচ্চা প্রসব করেছেন।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার সেই বাচ্চা চুরি করেছে।

সৈয়দ তামান্না আখতার বলেন,আমি ৯ মাস ১২ দিনের অন্তঃসত্ত্বা ছিলাম।এর আগেও আমি ডাক্তার দেখিয়েছি।আলট্রাসনোগ্রামে দেখা গেছে যে একটি ছেলে ও মেয়ে রয়েছে।বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তির পর আমাকে ওটিতে নেওয়া হয়।এর আগে আমার সব কাগজপত্র জমা দিলে আমাকে একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ওটিতে নেওয়ার পর তারা আমার সঙ্গে বাজে আচরণ করতে থাকেন।এর কিছুক্ষণ পরে চিকিৎসক ডাক্তার নিশাত আনাম বর্ণা বলেন, এদিকে দেখেন।তখন আমি বুঝতে পারলাম আমার পুরো শরীর ঝাঁকি দিচ্ছে।মনে হলো বাচ্চা টেনে বের করে নেওয়া হচ্ছে।এরপর আমার আর কিছু মনে নেই।যখন জ্ঞান ফিরলো তখন আমি জানতে পারলাম আমার পেটে নাকি কোনো বাচ্চা ছিল না।এই ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি কামনা করছি।

তৎক্ষনাৎ পুলিশ সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গেলে খালি গায়ে নিজ চেম্বারে মদ পান অবস্থায় ডা: রিমনকে দেখতে পায়।কিন্তু পরক্ষণে পুলিশ সেখান থেকে অজ্ঞাত কারণে চলে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রয়েল হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিয়ার চিকিৎসক আলী চৌধুরী রিমন বলেন, রোগীর অবস্থা গুরুতর ছিল।তার ভাইয়ের কাছে শুনেছেন তার পেটে দুইটা বাচ্চা ছিল।তাই তিনি অজ্ঞান করার ইনজেকশন দেন।

তবে গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিশাত আনাম বর্ণা বলেন, একজন নারী প্রেগন্যান্সির সব সিম্পটম নিয়ে এখানে এসেছিলেন।তিনি দাবি করেন, রোগীর স্বজনরা কোনো কাগজপত্র জমা দিতে পারেননি।তার কাছে কোনো পরামর্শও নেওয়া হয়নি।

রোগীকে অজ্ঞান রেখে রয়েল হাসপাতালে ওটিতে বসে সিগারেট ও মদ পান করতেছিলো ডা: রিমন।সে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত আছে।সে সময় সেখানে উপস্থিত হয় রাজপাড়া থানার পুলিশ এস আই কাজল নন্দি।তারাও সেখানে ডা: রিমনকে মদসহ আটক করেন।অজ্ঞাত কারণে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আসামীদের ছেড়ে দেয় বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবার।

পরে অনুসন্ধানে জানা যায়,দুটি পাঁচ শত টাকার বান্ডিলে মোট ১ লক্ষ টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে আসেন পুলিশ।পরে অবশ্য সাংবাদিক ও স্থানীয় লোকজন এবং ভুক্তভোগী পরিবাবের চাপে মামলা নেয় রাজপাড়া থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে কথা বলতে ওসি রাজপাড়া থানার ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত ওসি এস আই কাজল নন্দি বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়টি ১০০% মিথ্যা কথা।ঘটনায় ভুক্তভোগী মামলা করেছেন, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × three =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x