ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৭ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
মালিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাজার কমিটির সভাপতি শেখ ফরিদ মিয়া লাখাইয়ে গাড়ী চাপায় বাইসাইকেল আরোহী নিহত রাজশাহীতে বিশ্ব বসতি দিবস-২০২৩ উদযাপন সিংড়ায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ও এলাকাবাসীর বিক্ষোভ সমাবেশ শালিখায় দেড় লক্ষাধিক টাকার চায়না জাল আগুনে ভস্ম বাঘ তাড়িয়ে জেলের ক্ষতবিক্ষত মাথা উদ্ধার করলো গ্রামবাসী টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করলেন এমপি টিটু কাজিপুরে আরচেস এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক প্রবীন দিবস পালন নবাবগঞ্জে অটো রিক্সা শ্রমিক লীগের ইউনিয়ন কমিটি গঠন পটুয়াখালী সরকারি কলেজ বিজ্ঞান ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা : সভাপতি মেহেদী,সম্পাদক সিয়াম

বাউফলে অতিথি পাখির মাংস দিয়ে চলছে পিকনিক!

আশিকুর রহমান তুষার,বাউফলঃ
  • আপডেট সময় : ০৬:০৩:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩ ৩২২ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শীতের পাখি শিকার করা হচ্ছে।বিশেষ করে তেঁতুলিয়া ও লোহালিয়া নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে অথিতি পাখি শিকার বেশী করা হচ্ছে।শিকারকৃত এসব অতিথি পাখি দিয়ে গ্রামের যুবকরা পিকনিক খাচ্ছে।

অতিথি পাখি শিকার করে তার মাংস দিয়ে পিকনিকের ছবি ১৩ জানুয়ারি ফেসবুকে পোষ্ট করেছেন বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়নের এক যুবক।

ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন,‘‘আমরা শীতের দিনে পশু (পাখি)শিকার করে পিকনিক খাইতেছি।” সেখানে কয়েকটি জীবিত শীতের পাখি ও তার মাংসের ছবি সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে। অনেকেই এ পোষ্ট নিয়ে নেতিবাচক কমেন্ট করেছেন। কয়েকজন আবার লিখেছেন অথিতি পাখি শিকার করা অপরাধ, তার পরে আবার ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে অনেক বড় অপরাধ করা হয়েছে।

এই শীত মৌসুমে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় অতিথি পাখি আসে আশ্রয় নিতে। সেখানে এসব অথিতি পাখি শিকার করা হচ্ছে নির্বিচারে নদী বেষ্টিত বাউফলের চন্দ্রদ্বীপ, কালাইয়া, নাজিরপুর, কেশবপুর, ধুলিয়া, কাছিপাড়া এলাকায় অতিথি পাখির আগমন বেশী থাকে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু মানুষ। তারা টোপ ফেলে কিংবা জাল ফেলে পাখি শিকার করে। আবার এসব পাখি আবার ফেরি করে বিক্রি করে।

বাউফলে সেভ দ্যা বার্ড এর পরিচালক এমএ বশার বলেন, ‘‘অতিথি পাখি শিকার, বেচাবিক্রি আইনে নিষিদ্ধ করা হলে তা মানা হচ্ছেনা। বিশেষ করে এই শীতের মৌসুমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অতিথি পাখি নিধনরোধে কোন ধরণের পদক্ষেপ না নেয়ায় মূলত কিছু লোক পাখি শিকারে উৎসাহিত হচ্ছে। তাদের উচিৎ বিভিন্ন প্রচার প্রচারনা মাধ্যে অতিথি পাখি শিকার অনুৎসাহিত করা।”

এ ব্যাপারে বন ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের মফিজুর রহমান চৌধুরীর বলেন,‘‘শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে উত্তর মেরু, সাইবেরিয়া, ইউরোপ, এশিয়ার কিছু অঞ্চল, হিমালয়ের আশপাশের কিছু অঞ্চলের পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে বাংলাদেশে চলে আসে। আবার বসন্তের সময় মানে মার্চ-এপ্রিলের দিকে শীতপ্রধান ওই সব দেশে বরফ গলতে শুরু করে, কিছু কিছু গাছপালা জন্মাতে শুরু করে। তখন অতিথি পাখিরা নিজ দেশে ফিরে যায়। আমাদের উচিৎ এসব অথিতি পাখি নিরাপত্তা বিধান করা এবং শিকারীদের অনুৎসাহিত করা।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বাউফলে অতিথি পাখির মাংস দিয়ে চলছে পিকনিক!

আপডেট সময় : ০৬:০৩:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩

পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শীতের পাখি শিকার করা হচ্ছে।বিশেষ করে তেঁতুলিয়া ও লোহালিয়া নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে অথিতি পাখি শিকার বেশী করা হচ্ছে।শিকারকৃত এসব অতিথি পাখি দিয়ে গ্রামের যুবকরা পিকনিক খাচ্ছে।

অতিথি পাখি শিকার করে তার মাংস দিয়ে পিকনিকের ছবি ১৩ জানুয়ারি ফেসবুকে পোষ্ট করেছেন বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়নের এক যুবক।

ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন,‘‘আমরা শীতের দিনে পশু (পাখি)শিকার করে পিকনিক খাইতেছি।” সেখানে কয়েকটি জীবিত শীতের পাখি ও তার মাংসের ছবি সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে। অনেকেই এ পোষ্ট নিয়ে নেতিবাচক কমেন্ট করেছেন। কয়েকজন আবার লিখেছেন অথিতি পাখি শিকার করা অপরাধ, তার পরে আবার ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে অনেক বড় অপরাধ করা হয়েছে।

এই শীত মৌসুমে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় অতিথি পাখি আসে আশ্রয় নিতে। সেখানে এসব অথিতি পাখি শিকার করা হচ্ছে নির্বিচারে নদী বেষ্টিত বাউফলের চন্দ্রদ্বীপ, কালাইয়া, নাজিরপুর, কেশবপুর, ধুলিয়া, কাছিপাড়া এলাকায় অতিথি পাখির আগমন বেশী থাকে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু মানুষ। তারা টোপ ফেলে কিংবা জাল ফেলে পাখি শিকার করে। আবার এসব পাখি আবার ফেরি করে বিক্রি করে।

বাউফলে সেভ দ্যা বার্ড এর পরিচালক এমএ বশার বলেন, ‘‘অতিথি পাখি শিকার, বেচাবিক্রি আইনে নিষিদ্ধ করা হলে তা মানা হচ্ছেনা। বিশেষ করে এই শীতের মৌসুমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অতিথি পাখি নিধনরোধে কোন ধরণের পদক্ষেপ না নেয়ায় মূলত কিছু লোক পাখি শিকারে উৎসাহিত হচ্ছে। তাদের উচিৎ বিভিন্ন প্রচার প্রচারনা মাধ্যে অতিথি পাখি শিকার অনুৎসাহিত করা।”

এ ব্যাপারে বন ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের মফিজুর রহমান চৌধুরীর বলেন,‘‘শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে উত্তর মেরু, সাইবেরিয়া, ইউরোপ, এশিয়ার কিছু অঞ্চল, হিমালয়ের আশপাশের কিছু অঞ্চলের পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে বাংলাদেশে চলে আসে। আবার বসন্তের সময় মানে মার্চ-এপ্রিলের দিকে শীতপ্রধান ওই সব দেশে বরফ গলতে শুরু করে, কিছু কিছু গাছপালা জন্মাতে শুরু করে। তখন অতিথি পাখিরা নিজ দেশে ফিরে যায়। আমাদের উচিৎ এসব অথিতি পাখি নিরাপত্তা বিধান করা এবং শিকারীদের অনুৎসাহিত করা।”