ঢাকা ০৫:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...

কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকের হেনস্তায় স্বপ্নভঙ্গ মেহেরুন্নেসার

শ্যামল শীল,অতিথি লেখকঃ
  • আপডেট সময় : ০১:৩০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩ ৭১ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের খ ইউনিট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে।পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে সাভার থেকে আসা মেহেরুন্নেসা মিষ্টি নামের মিরপুর কলেজের এক শিক্ষার্থী জ্যামের কারণে কেন্দ্রে পৌঁছায় ২০ মিনিট দেরীতে।হলের সীটে ঢুকে খাতা প্রশ্ন হাতে পেয়েও পরীক্ষা দিতে পারে নি সেই শিক্ষার্থী।অথচ কেন্দ্রে আধ ঘণ্টা পরে এসেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন একাধিক শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে জানতে গেলে মিষ্টি বলেন, “আমার পরীক্ষা হলে আসতে দেরী হওয়ায় প্রথমে প্রবেশ করতে না করলেও পরবর্তীতে পরীক্ষা কক্ষে পাঠায় আর হাতে খাতা দেয়।কিন্তু কেন্দ্রে গার্ড দিচ্ছিলেন যে ম্যাম তিনি দেরী হওয়ার কথা বলে খাতা-প্রশ্ন ফেরত নিয়ে নেয় আর চেয়ারম্যান এর কাছে অনুমতি নিতে পাঠায়।আমি ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান এর কাছে গেলে তিনি ডীন অফিসে যেতে বলেন।ডীন অফিসে তখন কেউ ছিলো না।এতে ৪০ মিনিট সময় পার হয়ে যায়।তখন আমাকে পরীক্ষা দিতে দেয় নি, আমাকে যখন পরীক্ষা দিতে দিবে না তবে তা বললেই হতো, আমি চলে যেতাম।যেহেতু দিবে না তবে কেন আমাকে একজন শিক্ষকের কাছে এমন হেনেস্তার শিকার হতে হলো?

পরীক্ষার সময় তখন ৫০ মিনিট পার হয়ে গেলে সেই শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবর গেলে তিনি ডিন বরাবর যোগাযোগ করেন।তখন কলা অনুষদ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আসেন।

বিষয়টি জেনে তারা সম্মিলিত ভাবে জানান, এখন তো কিছু করার নেই।আগে জানালে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারতাম।

কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: রইছ উদ্দীন বলেন, আমরা দেরী করে আসা অনেককেই বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে পরীক্ষা দিতে দিয়েছি।ঐ শিক্ষার্থীর কথা আমাদের নোটিশ করলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতাম।এখানে আমাদের দায়িত্বে কোনো অবহেলা হয় নি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এমদাদুল হক বলেন, পরীক্ষায় দেরি করে দিতে আসা শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারবেন নাকি পারবেন না সম্পূর্ণ দায়িত্ব হলে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের হাতে।যদিও আমরা শিক্ষার্থীদের মানবিক দিক বিবেচনা করে ১৫-২০ মিনিট দেরি করে আসলেও পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছি।তাছাড়া উপকেন্দ্র নটরডেম কলেজের একজন পরীক্ষার্থী ভুল করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চলে আসলে তারও পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।আমাকে যদি আগে বিষয়টি জানানো হতো তাহলে কোনো কিছু করা যেতো।যেহেতু আমাকে পরে জানানো হয়েছে সেহেতু এখন আর দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া কিছু করার নাই।

শিক্ষকের হেনেস্তার বিষয়ে জানতে চাইলে জবি উপাচার্য বলেন, আমাকে যদি লিখিত অভিযোগ দিয়ে যায় অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকের হেনস্তায় স্বপ্নভঙ্গ মেহেরুন্নেসার

আপডেট সময় : ০১:৩০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩

গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের খ ইউনিট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে।পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে সাভার থেকে আসা মেহেরুন্নেসা মিষ্টি নামের মিরপুর কলেজের এক শিক্ষার্থী জ্যামের কারণে কেন্দ্রে পৌঁছায় ২০ মিনিট দেরীতে।হলের সীটে ঢুকে খাতা প্রশ্ন হাতে পেয়েও পরীক্ষা দিতে পারে নি সেই শিক্ষার্থী।অথচ কেন্দ্রে আধ ঘণ্টা পরে এসেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন একাধিক শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে জানতে গেলে মিষ্টি বলেন, “আমার পরীক্ষা হলে আসতে দেরী হওয়ায় প্রথমে প্রবেশ করতে না করলেও পরবর্তীতে পরীক্ষা কক্ষে পাঠায় আর হাতে খাতা দেয়।কিন্তু কেন্দ্রে গার্ড দিচ্ছিলেন যে ম্যাম তিনি দেরী হওয়ার কথা বলে খাতা-প্রশ্ন ফেরত নিয়ে নেয় আর চেয়ারম্যান এর কাছে অনুমতি নিতে পাঠায়।আমি ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান এর কাছে গেলে তিনি ডীন অফিসে যেতে বলেন।ডীন অফিসে তখন কেউ ছিলো না।এতে ৪০ মিনিট সময় পার হয়ে যায়।তখন আমাকে পরীক্ষা দিতে দেয় নি, আমাকে যখন পরীক্ষা দিতে দিবে না তবে তা বললেই হতো, আমি চলে যেতাম।যেহেতু দিবে না তবে কেন আমাকে একজন শিক্ষকের কাছে এমন হেনেস্তার শিকার হতে হলো?

পরীক্ষার সময় তখন ৫০ মিনিট পার হয়ে গেলে সেই শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবর গেলে তিনি ডিন বরাবর যোগাযোগ করেন।তখন কলা অনুষদ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আসেন।

বিষয়টি জেনে তারা সম্মিলিত ভাবে জানান, এখন তো কিছু করার নেই।আগে জানালে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারতাম।

কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: রইছ উদ্দীন বলেন, আমরা দেরী করে আসা অনেককেই বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে পরীক্ষা দিতে দিয়েছি।ঐ শিক্ষার্থীর কথা আমাদের নোটিশ করলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতাম।এখানে আমাদের দায়িত্বে কোনো অবহেলা হয় নি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এমদাদুল হক বলেন, পরীক্ষায় দেরি করে দিতে আসা শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারবেন নাকি পারবেন না সম্পূর্ণ দায়িত্ব হলে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের হাতে।যদিও আমরা শিক্ষার্থীদের মানবিক দিক বিবেচনা করে ১৫-২০ মিনিট দেরি করে আসলেও পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছি।তাছাড়া উপকেন্দ্র নটরডেম কলেজের একজন পরীক্ষার্থী ভুল করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চলে আসলে তারও পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।আমাকে যদি আগে বিষয়টি জানানো হতো তাহলে কোনো কিছু করা যেতো।যেহেতু আমাকে পরে জানানো হয়েছে সেহেতু এখন আর দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া কিছু করার নাই।

শিক্ষকের হেনেস্তার বিষয়ে জানতে চাইলে জবি উপাচার্য বলেন, আমাকে যদি লিখিত অভিযোগ দিয়ে যায় অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।