বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

আমতলীতে হত্যা মামলার স্বাক্ষীকে প্রাণনাশের হুমকি

বরগুনার আমতলীতে প্রশাসনের কাছে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি হত্যা মামলার স্বাক্ষী আমতলী উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

শনিবার (২০ মে) সকাল ১১ টায় আমতলী সদর ইউনিয়নের পুজাখোলা গ্রামের মো. মাসুদ মুন্সী (৪২) এ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্ত্যবে বলেন, ২০১৫ সালে মাসুদ মুন্সীর ভাগিনা মো. ফরিদকে পুর্ব বিরোধের জের ধরে হত্যা করেন আব্বাস মুন্সী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা।এঘটনায় আমতলী থানায় মামলা হয় যার নং ১৯ তাং ৮-০৯-১৫ ইং তারিখ এ মামলায় বাদী আবু হাওলাদার মাসুদ মুন্সী (৪২) কে স্বাক্ষী রাখে।স্বাক্ষীর তালিকায় মাসুদ মুন্সীর নাম থাকায় মামলার আসামী আব্বাস মুন্সী (৫০) তার ভগ্নিপতি আশ্রাফ আলী এবং আব্বাসের সাথে থাকা তার অপকর্মের সহযোগি শহিদ হাওলাদার, মজিদ মোল্লা, রহিম মোল্লা, মিরন প্যাদা, ফোরকান মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে মাসুদ মুন্সীকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দামকি ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে যাহাতে মাসুদ মুন্সী স্বাক্ষী নাদেয়।

ঘটনার তারিখ ১৬ মে ১১টা ৩০ এর সময় মাসুদ মুন্সী পুজাখোলা গ্রামের বগীর বিল দিয়ে একা যাওয়ার সময় আব্বাস মুন্সী (৫০) তার ভগ্নিপতি আশ্রাফ আলী, শহিদ হাওলাদার, মজিদ মোল্লা, রহিম মোল্লা, মিরন প্যাদা, ফোরকান মোল্লা দেশিয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে মো: মাসুদ মুন্সীকে গতিরোধ করে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করে সাক্ষ্য দিতে নিষেধ করেন।সাক্ষ্য দিলে মাসুদ মুন্সী ও তার পরিবারের সদস্যদের খুন জখমসহ বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দেন।তখন মাসুদ মুন্সীর ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন চলে আসায় মাসুদ মুন্সী ও তার বাহিনীর লোকজন চলে যায়।

মাসুদ মুন্সী আরো বলেন, বর্তমানে আব্বাস মুন্সী ও তার বাহিনীর ভয়ে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছিনা।

এঘটনায় সন্ত্রাসী আব্বাস মুন্সী (৫০) ও তার বাহিনীর বিচার চেয়ে প্রশাসনের উচ্চমহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন মাসুদ মুন্সী।

সংবাদ সম্মেলনে মাসুদ মুন্সীর সাথে উপস্থিত ছিলেন, একই গ্রামের জামাল মুন্সী, বেল্লাল মুন্সী, গেন্দু হাওলাদার, আলম শাহা ও কাশেম পাহলান প্রমুখ।

এ বিষয় জানার জন্য একাধিকবার আব্বাস মুন্সীর মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) রনজিৎ সরকার বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × four =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x