বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫০ অপরাহ্ন
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

তীব্র গরমে সুজানগরে বাড়ছে তালশাসের কদর

প্রচন্ড এই গরমে সুজানগর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে জমে উঠেছে লোভনীয় ফল তালশাসের কদর।সেই সাথে বাড়ছে বিক্রির ধুম।স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষের প্রিয় তালশাস।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভ্যাপসা গরমে শরীরের পানি শূন্যতা দূর করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে এ ফলটি।সহজলভ্য ও মুখরোচক হওয়ায় এসময় বিভিন্ন বয়সী, শ্রেণী-পেশার মানুষের এ সময়ের পছন্দের ফল তাল শাঁস।

এ ফলটির রয়েছে বিভিন্ন রকমের ওষুধি গুণও।গরমের এই এই দিনে তালের শাঁস খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার।

পাকা তালের পূর্ব অবস্থাটির নামই হলো তালের শাঁস।এর নরম কচি শাঁস খেতে সুস্বাদু হওয়ায় বর্তমানে এর চাহিদা অনেক বেড়েছে।একজন বিক্রেতা শাঁস কেটে তুলতে তুলতে আরো অনেক ক্রেতারা দাঁড়িয়ে থাকে শাঁস নেবার জন্য।

সুজানগর উপজেলার অনেক গ্রামেই তাল গাছ রয়েছে।তালের শাঁস অতি সুস্বাদু হওয়ায় সকল শ্রেণীর মানুষের মাঝে তালের শাঁস একটি জনপ্রিয় ফল।

তালগাছ বাড়ির আনাচে-কাঁনাচে, পুকুর পাড়ে, নদীর ধারে, পরিত্যক্ত স্থানে বেশি দেখা যায়।তবে দিনে দিনে অনেকটা বিলুপ্তির পথে তালগাছ।

সুজানগর পৌর বাজারের নন্দিতা সিনেমা হলরোডে তাল বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতি, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবার কাছে প্রিয় তালের শ্বাস।আবার মৌসুমি ফল বলে শখের বশেই অনেকে এটি খায়।দামেও বেশ সস্তা।তাই বাজারে এর কদরও বেশি।বাজারের পাশাপাশি পাড়া মহল্লায়ও প্রতিটি তাল ১০-১৫ টাকাকরে ভ্যানে নিয়ে ফেরি করে বিক্রী করেন তিনি।

মকুল হোসেন নামে অপর এক তালের শাঁস বিক্রেতা জানান, তিনি প্রতি বছর এ সময়ে তালের শাঁস বিক্রি করে সংসার চালান।গ্রাম অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে তাল ক্রয় করে গাছ থেকে পেড়ে এনে শাঁস বিক্রি করেন।

সুজানগর পৌর শহরে তালের শাঁস কিনতে আসা সুজানগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও মহিলা কলেজের অধ্যক্ষশাহজাহান আলী বলেন, তালের শাস একটি সুস্বাদু ফল।গরমে তালের শাস খেতে ভালই লাগে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 + fifteen =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x