রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলায় হোটেল তাজ এ আজ ১৮ মে বৃহষ্পতিবার দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এর সহায়তায় পিস ফ্যসিলিটেটর গ্রুপের ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত সভায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জতীয় পার্টিসহ সুশিল সমাজের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন পুঠিয়া উপজেলার প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও পুঠিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এনামুল হক।

সভাটি সঞ্চালনা করেন পুঠিয়া পিএফজির সমন্বয়ক ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মো. আব্দুস সামাদ।

সভায় আরও উপস্হিত ছিলেন যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী ও পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মৌসুমি রহমান, উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদেলের যুগ্ম আহবায়ক ও পিএফজি এম্বাসেডর জনাব রিপন রেজা; পুঠিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ধর্মীয় সম্প্রীতি জোটের সভাপতি আইয়ুব রানা; পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. মনোয়ারুল ইসলাম; উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদি বাবু, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবুল বাশার জুয়েল, উপজেলা আওয়ামী মহিলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদিকা রুখসানা খাতুন নিগার, বেলপুকুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কবি সাবের রাহ, জিওপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান বিএসসি, উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আখলিমা খাতুন সহ বিভিন্ন দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।সভার সভাপতি এবং উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ইনামুল হক বলেন, “আমরা পিএফজির সদস্যরা সবার জন্য কাজ করার আদর্শ নিয়ে কাজ করি, যা নতুন এক দিগন্তের সূচনা করেছে যেখানে সকল দলমত নির্বিশেষে শান্তির জন্য কাজ করছি এটা সবার জন্য উদাহরণ।

পুঠিয়া উপজেলা পিএফজির সমন্বয়ক এবং রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সামাদ বলেন, ২০০১ সালের পর কোন দলের সাথে কথা বলতো না, সংঘর্ষ নিত্য নৈমেত্তিক ব্যাপার ছিলো।অথচ পিএফজির কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর আমরা বিএনপি, জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ একসাথে কথা বলি।পিএফজি হওয়ার পর এখন আর দলী সংঘর্ষ হয় না।সকল দলের ভিতর পারষ্পরিক বিশ্বাসের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সামনের নির্বাচনে যেনো কোনো প্রকার সংঘাত পুঠিয়া উপজেলায় না হয় তার দ্বায়িত্ব আমাদের নিতে হবে।

পুঠিয়া মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান মৌসুমি রহমান বলেন, আমরা যে কাজটা করি এটা একটি মহান এবং ভালো কাজ।এর প্রচারণা প্রয়োজন এবং একসাথে কাঁধে কাধ মিলিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে, যাতে আমরা সম্প্রীতির পুঠিয়া উপজেলা তৈরি করতে পারি।

ধর্মীয় সম্প্রীতি জোটের সভাপতি আইয়ুব রানা বলেন, আওয়ামী লীগ, বিএনপির চা স্টল একসময় আলাদা ছিলো, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছিলো।এখন তা কমেছে।পিএফজির কারণে আমরা এখন একই স্টলে চা খাই।আমরা আমাদের ভিতর দুরত্ব আরও কমাতে চাই।

কবি সাবের রাহি বলেন, আমার ভালোা লাগে এখানে আমরা সকল দলের প্রতিনিধি একই উদ্দেশ্যে একসাথে হয়েছি।গণতন্ত্র থাকতে হলে দল থাকতে হবে।রাজনীতিতে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে।