ঢাকা ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
মানুষ মনে করে,দেশের সব মদ আমিই খাই : পরী মণি সাংবাদিক আনহার বিন সাইদ এর প্রবাস যাত্রায় বিশ্বনাথ উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবর্ধনা প্রদান ধামইরহাটে ভুট্টার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ মাওলানা শামছুল ইসলাম আমের বাণিজ্যিক রাজধানী সাপাহারে চলছে পরিপক্ক আম কেনাবেচা মধুপুরে জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ ভাঙ্গায় অবৈধ স্থাপনাসহ ১৫০ দোকানপাট দখলমুক্ত কমলনগরে ছাত্রলীগের ৬ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত শিশু শাহজাহানকে উদ্ধার করল গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ দাইপুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত

বাঘায় চুলার আগুনে পুড়লো ১০টি ঘর,২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি

সুব্রত কুমার,বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : ০৮:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩ ৮১৮ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহী জেলার বাঘায় আগুনে ১০টি ঘর পুড়ে ২০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামের মজিবর রহমানের বাড়িতে আগুনের এই ঘটনা ঘটে।

আগুনের সূত্রপাত রান্না ঘরের চুলা থেকে হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাড়ির মালিক মজিবর রহমান।

স্থানীয়দের পাশাপাশি বাঘা উপজেলা আনসার সদস্য ও বাঘা এবং লালুপুর উপজেলার সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা ঘটনা স্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আশরাফপুর গ্রামের মজিবর রহমানের বাড়িতে দুপুরের রান্না করছিল তার স্ত্রী।চুলায় রান্না করা অবস্থায় বাড়ির বাইরে কাজে যান তিনি।এ সময় রান্না ঘরে আগুন পাশে ঘরে লাগে।গেন ঘরে রাখা ছিল প্রায় সাড়ে ৩০০ মণ পাট।

পাটের ঘরে আগুন লাগার পরে পর্যায়ক্রমে ১০টি ঘরে আগুন লাগে।ঘরে রাখা নগদ ৭ লক্ষ টাকা, ২০ মণ ভূট্টা, ৫০ মণ গম, ৫০ মণ ধান, একটি মোটর সাইকেল, ফ্রিজ, দুটি সেলাইমেশিন, জমির দলিল, আলমারি, স্বর্ণালংকার, চেয়ার—টেবিল, খাট, আসবাবপত্র, জামা কাপড় সহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি করেন বাড়ির মালিক।

এ বিষয়ে বাড়ির মালিক মজিবর রহমান বলেন, স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে বাঘা ও লালুপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।তবে এর আগে বাড়ির সমস্ত মালামাল পুড়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, নিজ এলাকার বাজারে একটি দোকান ঘর ছল।ওই দোকান ঘর বিক্রি করা নগদ ৭ লাখ টাকা ঘরে রাখাছিল।সব কিছু পুড়ে শেষ হয়ে গেছে।এখন আমরা কি করে চলবো।

উপজেলা সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ের সিনিয়র ফায়ার ফাইটার আতিকুর রহমান জানান, আগুনে পুড়ে গেছে ঘরের ১০টি কক্ষ।এর মধ্যে ৭টি শয়ন ঘর, ১টি পাট রাখা ঘর, ১ টি বাড়ির মালপত্র রাখার ষ্টোর রুম ও ১টি রান্না ঘর।আগুনে ঘরে রাখা ৩০০ মণ পাট সহ ১টি মোটর সাইকেল, ৩টি টিভি, ১টি ফ্রিজ, ১টি ভটভটি মেশিন সহ আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।।

গড়গড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানর রবিউল ইসলাম রবি বলেন, একই গ্রামে তার বাড়ি।খবর পেয়ে সেখানে যায় এবং দুই উপজেলার ফায়ার সার্ভিস সেটশনকে খবর দিই।স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছেন।তবে এর আগে বাড়ি সমস্ত মালামাল পুড়ে গেছে।বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলে তাৎক্ষনিক তারা ও ঘটনাস্থলে এসে সহযোগিতা করেছেন।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।তাৎক্ষনিক উপজেলা প্রশাসনের তাদের কিছু পোশাক ও খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাঘায় চুলার আগুনে পুড়লো ১০টি ঘর,২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি

আপডেট সময় : ০৮:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

রাজশাহী জেলার বাঘায় আগুনে ১০টি ঘর পুড়ে ২০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামের মজিবর রহমানের বাড়িতে আগুনের এই ঘটনা ঘটে।

আগুনের সূত্রপাত রান্না ঘরের চুলা থেকে হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাড়ির মালিক মজিবর রহমান।

স্থানীয়দের পাশাপাশি বাঘা উপজেলা আনসার সদস্য ও বাঘা এবং লালুপুর উপজেলার সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা ঘটনা স্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আশরাফপুর গ্রামের মজিবর রহমানের বাড়িতে দুপুরের রান্না করছিল তার স্ত্রী।চুলায় রান্না করা অবস্থায় বাড়ির বাইরে কাজে যান তিনি।এ সময় রান্না ঘরে আগুন পাশে ঘরে লাগে।গেন ঘরে রাখা ছিল প্রায় সাড়ে ৩০০ মণ পাট।

পাটের ঘরে আগুন লাগার পরে পর্যায়ক্রমে ১০টি ঘরে আগুন লাগে।ঘরে রাখা নগদ ৭ লক্ষ টাকা, ২০ মণ ভূট্টা, ৫০ মণ গম, ৫০ মণ ধান, একটি মোটর সাইকেল, ফ্রিজ, দুটি সেলাইমেশিন, জমির দলিল, আলমারি, স্বর্ণালংকার, চেয়ার—টেবিল, খাট, আসবাবপত্র, জামা কাপড় সহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি করেন বাড়ির মালিক।

এ বিষয়ে বাড়ির মালিক মজিবর রহমান বলেন, স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে বাঘা ও লালুপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।তবে এর আগে বাড়ির সমস্ত মালামাল পুড়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, নিজ এলাকার বাজারে একটি দোকান ঘর ছল।ওই দোকান ঘর বিক্রি করা নগদ ৭ লাখ টাকা ঘরে রাখাছিল।সব কিছু পুড়ে শেষ হয়ে গেছে।এখন আমরা কি করে চলবো।

উপজেলা সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ের সিনিয়র ফায়ার ফাইটার আতিকুর রহমান জানান, আগুনে পুড়ে গেছে ঘরের ১০টি কক্ষ।এর মধ্যে ৭টি শয়ন ঘর, ১টি পাট রাখা ঘর, ১ টি বাড়ির মালপত্র রাখার ষ্টোর রুম ও ১টি রান্না ঘর।আগুনে ঘরে রাখা ৩০০ মণ পাট সহ ১টি মোটর সাইকেল, ৩টি টিভি, ১টি ফ্রিজ, ১টি ভটভটি মেশিন সহ আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।।

গড়গড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানর রবিউল ইসলাম রবি বলেন, একই গ্রামে তার বাড়ি।খবর পেয়ে সেখানে যায় এবং দুই উপজেলার ফায়ার সার্ভিস সেটশনকে খবর দিই।স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছেন।তবে এর আগে বাড়ি সমস্ত মালামাল পুড়ে গেছে।বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলে তাৎক্ষনিক তারা ও ঘটনাস্থলে এসে সহযোগিতা করেছেন।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।তাৎক্ষনিক উপজেলা প্রশাসনের তাদের কিছু পোশাক ও খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে।