ঢাকা ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
মানুষ মনে করে,দেশের সব মদ আমিই খাই : পরী মণি সাংবাদিক আনহার বিন সাইদ এর প্রবাস যাত্রায় বিশ্বনাথ উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবর্ধনা প্রদান ধামইরহাটে ভুট্টার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ মাওলানা শামছুল ইসলাম আমের বাণিজ্যিক রাজধানী সাপাহারে চলছে পরিপক্ক আম কেনাবেচা মধুপুরে জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ ভাঙ্গায় অবৈধ স্থাপনাসহ ১৫০ দোকানপাট দখলমুক্ত কমলনগরে ছাত্রলীগের ৬ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত শিশু শাহজাহানকে উদ্ধার করল গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ দাইপুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত

জন্মহার বাড়াতে ব্যর্থ চীন-জাপান

যমুনা প্রতিদিন ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১১:৪১:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩ ৮৫ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এশিয়ার বড় অর্থনীতির কিছু দেশে জন্মহার কমে যাওয়াটা অন্যতম উদ্বেগের বিষয়ে পরিণত হয়েছে।এই প্রবণতা বদলাতে দেশগুলোর সরকার কয়েক শ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে।

জাপান ১৯৯০-এর দশকে দম্পতিদের অধিক সন্তান নিতে উৎসাহিত করতে নীতি গ্রহণ করেছিল।দক্ষিণ কোরিয়া একই ধরনের নীতি নিয়েছিল এ শতকের শূন্য দশকে।অন্যদিকে সিঙ্গাপুর ১৯৮৭ সালের দিকে প্রজনন নীতি গ্রহণ করেছিল।

এদিকে গত ৬০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জনসংখ্যা কমে যাওয়া চীন সাম্প্রতিক সময়ে জনসংখ্যা বাড়ানোর ‘ক্লাবে’ যোগ দিয়েছে।এসব নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন দেশ কত খরচ করেছে, তার সঠিক হিসাব নেই।

তবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সম্প্রতি বলেছেন, জনসংখ্যা বাড়াতে তাঁর দেশ গত ১৬ বছরে ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করেছে।তা সত্ত্বেও গত বছর দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে কম প্রজনন হারের নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙেছে।সেখানে নারীপ্রতি সন্তান ধারণের গড় সংখ্যা ০.৭৮-এ নেমে এসেছে।

প্রতিবেশী জাপানে গত বছর ৮ লাখের কম শিশু জন্মের রেকর্ড করা হয়েছে।দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সম্প্রতি শিশুসংক্রান্ত নীতির বাজেট দ্বিগুণ করে ৭৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।এটি দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ শতাংশের সামান্য বেশি।

জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, বিশ্বের অনেক দেশ যখন জন্মহার কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে, সেখানে কিছু দেশ ১৯৭৬ সাল থেকে প্রজনন হার তিন গুণের বেশি করতে চাইছে।

প্রশ্ন হলো, কেন তাহলে এসব দেশ জনসংখ্যা বাড়াতে চায়?

এর সোজাসাপ্টা উত্তর হলো, জনসংখ্যা বাড়লে তারা উচ্চ প্রবৃদ্ধির জন্য আরও বেশি পণ্য ও সেবা উৎপাদন করবে।

একদিকে বড় জনসংখ্যা মানে সরকারের জন্য উচ্চ ব্যয় হলেও এতে কর রাজস্বও বেশি বাড়ে।

এ ছাড়া এশিয়ার অনেক দেশে বয়োবৃদ্ধ জনগোষ্ঠী দ্রুতগতিতে বাড়ছে।জাপানে এখন ষাটোর্ধ্ব মানুষ মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।এই হিসাবে খুব একটা পিছিয়ে নেই আরও কয়েকটি দেশ।

এ চিত্র ভারতের সঙ্গে তুলনা করা যাক, যেটি সবে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চীনকে ছাড়িয়েছে।দেশটিতে এখন ১০ এবং ২০ বছর বয়সী জনগোষ্ঠী এক-তৃতীয়াংশের বেশি।এটি দেশটির প্রবৃদ্ধির জন্য ব্যাপক সম্ভাবনাময়।এটা একটা দিক।

আরেকটা দিক হলো, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অংশ ছোট হয়ে এলে অবসরভোগী জনগোষ্ঠীর ব্যয় ও দেখাশোনার বোঝাও বেড়ে যায়।

অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শিউজিয়ান পেং বলেন, বয়োবৃদ্ধ জনগোষ্ঠী বৃদ্ধির সঙ্গে ঋণাত্মক জন্মহার সম্মিলিতভাবে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে।জন্মহার বাড়ানোর জন্য এই অঞ্চলজুড়ে বেশির ভাগ ব্যবস্থা একই রকম।সেগুলো হলো, নতুন দম্পতির জন্য অর্থ প্রদান, ভর্তুকি বা বিনা মূল্যে শিক্ষা, বাড়তি সেবাযত্ন, কর প্রণোদনা এবং সন্তান জন্মের পরপর পিতামাতার ছুটি বাড়ানো।

তবে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের গত কয়েক দশকের তথ্য বলছে, দেশগুলোয় নেওয়া জনসংখ্যা বাড়ানোর প্রচেষ্টা ও নীতিগুলোর খুব কমই প্রভাব রয়েছে।

জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, এ ধরনের নীতি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে।জাতিসংঘের প্রতিবেদনেও একই ধরনের মতামত প্রতিফলিত হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জন্মহার বাড়াতে ব্যর্থ চীন-জাপান

আপডেট সময় : ১১:৪১:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

এশিয়ার বড় অর্থনীতির কিছু দেশে জন্মহার কমে যাওয়াটা অন্যতম উদ্বেগের বিষয়ে পরিণত হয়েছে।এই প্রবণতা বদলাতে দেশগুলোর সরকার কয়েক শ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে।

জাপান ১৯৯০-এর দশকে দম্পতিদের অধিক সন্তান নিতে উৎসাহিত করতে নীতি গ্রহণ করেছিল।দক্ষিণ কোরিয়া একই ধরনের নীতি নিয়েছিল এ শতকের শূন্য দশকে।অন্যদিকে সিঙ্গাপুর ১৯৮৭ সালের দিকে প্রজনন নীতি গ্রহণ করেছিল।

এদিকে গত ৬০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জনসংখ্যা কমে যাওয়া চীন সাম্প্রতিক সময়ে জনসংখ্যা বাড়ানোর ‘ক্লাবে’ যোগ দিয়েছে।এসব নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন দেশ কত খরচ করেছে, তার সঠিক হিসাব নেই।

তবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সম্প্রতি বলেছেন, জনসংখ্যা বাড়াতে তাঁর দেশ গত ১৬ বছরে ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করেছে।তা সত্ত্বেও গত বছর দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে কম প্রজনন হারের নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙেছে।সেখানে নারীপ্রতি সন্তান ধারণের গড় সংখ্যা ০.৭৮-এ নেমে এসেছে।

প্রতিবেশী জাপানে গত বছর ৮ লাখের কম শিশু জন্মের রেকর্ড করা হয়েছে।দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সম্প্রতি শিশুসংক্রান্ত নীতির বাজেট দ্বিগুণ করে ৭৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।এটি দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ শতাংশের সামান্য বেশি।

জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, বিশ্বের অনেক দেশ যখন জন্মহার কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে, সেখানে কিছু দেশ ১৯৭৬ সাল থেকে প্রজনন হার তিন গুণের বেশি করতে চাইছে।

প্রশ্ন হলো, কেন তাহলে এসব দেশ জনসংখ্যা বাড়াতে চায়?

এর সোজাসাপ্টা উত্তর হলো, জনসংখ্যা বাড়লে তারা উচ্চ প্রবৃদ্ধির জন্য আরও বেশি পণ্য ও সেবা উৎপাদন করবে।

একদিকে বড় জনসংখ্যা মানে সরকারের জন্য উচ্চ ব্যয় হলেও এতে কর রাজস্বও বেশি বাড়ে।

এ ছাড়া এশিয়ার অনেক দেশে বয়োবৃদ্ধ জনগোষ্ঠী দ্রুতগতিতে বাড়ছে।জাপানে এখন ষাটোর্ধ্ব মানুষ মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।এই হিসাবে খুব একটা পিছিয়ে নেই আরও কয়েকটি দেশ।

এ চিত্র ভারতের সঙ্গে তুলনা করা যাক, যেটি সবে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চীনকে ছাড়িয়েছে।দেশটিতে এখন ১০ এবং ২০ বছর বয়সী জনগোষ্ঠী এক-তৃতীয়াংশের বেশি।এটি দেশটির প্রবৃদ্ধির জন্য ব্যাপক সম্ভাবনাময়।এটা একটা দিক।

আরেকটা দিক হলো, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অংশ ছোট হয়ে এলে অবসরভোগী জনগোষ্ঠীর ব্যয় ও দেখাশোনার বোঝাও বেড়ে যায়।

অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শিউজিয়ান পেং বলেন, বয়োবৃদ্ধ জনগোষ্ঠী বৃদ্ধির সঙ্গে ঋণাত্মক জন্মহার সম্মিলিতভাবে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে।জন্মহার বাড়ানোর জন্য এই অঞ্চলজুড়ে বেশির ভাগ ব্যবস্থা একই রকম।সেগুলো হলো, নতুন দম্পতির জন্য অর্থ প্রদান, ভর্তুকি বা বিনা মূল্যে শিক্ষা, বাড়তি সেবাযত্ন, কর প্রণোদনা এবং সন্তান জন্মের পরপর পিতামাতার ছুটি বাড়ানো।

তবে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের গত কয়েক দশকের তথ্য বলছে, দেশগুলোয় নেওয়া জনসংখ্যা বাড়ানোর প্রচেষ্টা ও নীতিগুলোর খুব কমই প্রভাব রয়েছে।

জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, এ ধরনের নীতি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে।জাতিসংঘের প্রতিবেদনেও একই ধরনের মতামত প্রতিফলিত হয়েছে।