ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
ডোমারে গোপনে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার সময় অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষক ভূরুঙ্গামারীতে জামাই শ্বাশুড়ি আপত্তিকর অবস্থায় আটক রাসিকের ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী জানে আলম বিজয়ে শতভাগ আশাবাদী ৬ দফা আন্দোলন বাংলাদেশ সৃষ্টির বীজবপন হয়েছিল : শাজাহান খান এমপি ভারতের নতুন সংসদ ভবনে ‘অখণ্ড ভারতের’ ম্যুরাল স্থাপন স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের উপর হস্তক্ষেপ : হানিফ বাংলাদেশী ধামইরহাটে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণকারী অফিসারদের প্রশিক্ষণ তাড়াশে মাদ্রাসা ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ জনতার রোদন গবেষণায় ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন রাবি অধ্যাপক নকীব ছেলের খরচে ২৯ দিনের ছুটিতে আমেরিকা যাচ্ছেন রাবি উপাচার্য

জবি বিএনসিসি ৩৫ জন ক্যাডেটের পদোন্নতি ও দায়িত্ব হস্তান্তর

এম এ হাসিব,জবি প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৬:১৮:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩ ১৩৩ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কন্টিনজেন্টের ক্যাডেট কর্পোরাল থেকে ৬ জন ক্যাডেট সার্জেন্ট এবং ক্যাডেট থেকে ২৯ জন ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরাল পদমর্যদা লাভ করেছেন।

রবিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় মুজিব মঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক ও কোম্পানি কমান্ডার পিইউও আতিয়ার রহমান ভাষা শহীদ রফিক ভবন চত্বরে নব পদমর্যাদাপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের র‌্যাঙ্ক ব্যাচ পড়িয়ে দেন।

এ সময় ক্যাডেট সার্জেন্ট মোঃ রিয়াল মল্লিকের নিকট হতে নতুন ক্যাডেট ইনচার্জ হিসেবে সার্জেন্ট স্বপন মিয়াকে দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং সিইউও মোঃ মামুন শেখসহ ১৯তম বিদায়ী ক্যাডেটদের ক্রেস্ট প্রদান এবং গার্ড অব অনার, আন্তঃপ্লাটুন ড্রিল, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক বলেন,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনসিসি ভর্তি পরীক্ষায় নিরাপত্তা থেকে শুরু করে করোনা দুর্যোগের সময় সচেতনতা তৈরি সহ সকল ক্ষেত্রে যথাযথ দায়িত্ব পালন করে আসছে।অদূর ভবিষ্যতেও তারা তাদের সম্মান ও দায়িত্ববোধ ধরে রাখবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসির সকল ক্যাডেটবৃন্দ সকল মানবিক কাজে শুরু থেকেই এগিয়ে আসছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি জাতির ক্রান্তিলগ্নে মানবতার সেবায় সবসময় প্রস্তুত থাকবে বলে তিনি মনে করেন।

১ বিএনসিসি ব্যাটালিয়নের ব্রাভো কোম্পানির কোম্পানি কমান্ডার ও জবি বিএনসিসি কন্টিনজেন্টের অফিসার ইনচার্জ পিইউও আতিয়ার রহমান বলেন,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকবে।নতুন ক্যাডেটদের নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করার জন্য সবাইকে আহ্বান করেন।সাবেকদের কাছ থেকে আশা করেন তারা যেন বিএনসিসি থেকে অর্জিত দক্ষতা, শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা তাদের জীবনে প্রয়োগ করে সফলতা অর্জন করেন।

বিদায়ী সিইউও মোঃ মামুন শেখ বলেন, পাঁচ বছরের কঠোর ট্রেনিং, তিনশোর বেশী ক্যাডেটের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ র‍্যাংক ক্যাডেট আন্ডার অফিসার হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্তি এবং শেষে একঝাঁক ক্যাডেটের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কবি নজরুল সরকারি কলেজ,শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজের বিএনসিসি প্লাটুনের সিইউও হিসেবে দায়িত্ব হস্তান্তরের মাধ্যমে দীর্ঘ ক্যাডেট জীবনের অবসান হল আজ।

তিনি বলেন,জার্নিটা সহজ ছিলো না,পদে পদে ছিল অনিশ্চয়তা আর হাজারো চ্যালেঞ্জ।তার স্বীকৃতি হিসেবে আজ বিএনসিসি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কন্টিনজেন্ট থেকে সিইউওশিপের বিদায় গ্রহণ করলাম।বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ভালো বাসা এটা আমার।মানুষ যেমন একজন আরেকজনকে ভালোবাসলে তাকে কখনো ভুলতে পারে না।আমিও ঠিক আমার প্রিয় ক্যাডেট, প্রিয় প্রশিক্ষক,শত ভুলত্রুটি করার পরও সঠিক শিক্ষা দানকারী সিনিয়র ক্যাডেটবৃন্দ, আমার ব্যাচমেটবৃন্দ, জবি বিএনসিসি পৃত্রিতুল্য প্রিয় পিইউওদের কখনো ভুলতে পারবো না।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল,পিইউও আবু হানিফ সরকার,পিইউও সাজিয়া আফরিন,আর্মি সামরিক স্টাফসহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা,১ বিএনসিসি ব্যাটালিয়ন ব্রাভো কোম্পানির সাবেক সিইউও মো. মামুন শেখসহ বিএনসিসি সাবেক ও বর্তমান ক্যাডেটবৃদ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের যাত্রা শুরু হয় ১৯৫৫ সাল থেকে। বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি ‘১ রমনা ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার’ এর অধীনে রয়েছে।এতে ৬টি প্লাটুন রয়েছে,যার মধ্যে ৩টি ছেলেদের ও ৩টি মেয়েদের। প্রত্যেক প্লাটুনে ৩৩ জন করে ক্যাডেট আছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জবি বিএনসিসি ৩৫ জন ক্যাডেটের পদোন্নতি ও দায়িত্ব হস্তান্তর

আপডেট সময় : ০৬:১৮:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কন্টিনজেন্টের ক্যাডেট কর্পোরাল থেকে ৬ জন ক্যাডেট সার্জেন্ট এবং ক্যাডেট থেকে ২৯ জন ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরাল পদমর্যদা লাভ করেছেন।

রবিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় মুজিব মঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক ও কোম্পানি কমান্ডার পিইউও আতিয়ার রহমান ভাষা শহীদ রফিক ভবন চত্বরে নব পদমর্যাদাপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের র‌্যাঙ্ক ব্যাচ পড়িয়ে দেন।

এ সময় ক্যাডেট সার্জেন্ট মোঃ রিয়াল মল্লিকের নিকট হতে নতুন ক্যাডেট ইনচার্জ হিসেবে সার্জেন্ট স্বপন মিয়াকে দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং সিইউও মোঃ মামুন শেখসহ ১৯তম বিদায়ী ক্যাডেটদের ক্রেস্ট প্রদান এবং গার্ড অব অনার, আন্তঃপ্লাটুন ড্রিল, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক বলেন,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনসিসি ভর্তি পরীক্ষায় নিরাপত্তা থেকে শুরু করে করোনা দুর্যোগের সময় সচেতনতা তৈরি সহ সকল ক্ষেত্রে যথাযথ দায়িত্ব পালন করে আসছে।অদূর ভবিষ্যতেও তারা তাদের সম্মান ও দায়িত্ববোধ ধরে রাখবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসির সকল ক্যাডেটবৃন্দ সকল মানবিক কাজে শুরু থেকেই এগিয়ে আসছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি জাতির ক্রান্তিলগ্নে মানবতার সেবায় সবসময় প্রস্তুত থাকবে বলে তিনি মনে করেন।

১ বিএনসিসি ব্যাটালিয়নের ব্রাভো কোম্পানির কোম্পানি কমান্ডার ও জবি বিএনসিসি কন্টিনজেন্টের অফিসার ইনচার্জ পিইউও আতিয়ার রহমান বলেন,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকবে।নতুন ক্যাডেটদের নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করার জন্য সবাইকে আহ্বান করেন।সাবেকদের কাছ থেকে আশা করেন তারা যেন বিএনসিসি থেকে অর্জিত দক্ষতা, শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা তাদের জীবনে প্রয়োগ করে সফলতা অর্জন করেন।

বিদায়ী সিইউও মোঃ মামুন শেখ বলেন, পাঁচ বছরের কঠোর ট্রেনিং, তিনশোর বেশী ক্যাডেটের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ র‍্যাংক ক্যাডেট আন্ডার অফিসার হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্তি এবং শেষে একঝাঁক ক্যাডেটের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কবি নজরুল সরকারি কলেজ,শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজের বিএনসিসি প্লাটুনের সিইউও হিসেবে দায়িত্ব হস্তান্তরের মাধ্যমে দীর্ঘ ক্যাডেট জীবনের অবসান হল আজ।

তিনি বলেন,জার্নিটা সহজ ছিলো না,পদে পদে ছিল অনিশ্চয়তা আর হাজারো চ্যালেঞ্জ।তার স্বীকৃতি হিসেবে আজ বিএনসিসি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কন্টিনজেন্ট থেকে সিইউওশিপের বিদায় গ্রহণ করলাম।বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ভালো বাসা এটা আমার।মানুষ যেমন একজন আরেকজনকে ভালোবাসলে তাকে কখনো ভুলতে পারে না।আমিও ঠিক আমার প্রিয় ক্যাডেট, প্রিয় প্রশিক্ষক,শত ভুলত্রুটি করার পরও সঠিক শিক্ষা দানকারী সিনিয়র ক্যাডেটবৃন্দ, আমার ব্যাচমেটবৃন্দ, জবি বিএনসিসি পৃত্রিতুল্য প্রিয় পিইউওদের কখনো ভুলতে পারবো না।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল,পিইউও আবু হানিফ সরকার,পিইউও সাজিয়া আফরিন,আর্মি সামরিক স্টাফসহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা,১ বিএনসিসি ব্যাটালিয়ন ব্রাভো কোম্পানির সাবেক সিইউও মো. মামুন শেখসহ বিএনসিসি সাবেক ও বর্তমান ক্যাডেটবৃদ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের যাত্রা শুরু হয় ১৯৫৫ সাল থেকে। বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি ‘১ রমনা ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার’ এর অধীনে রয়েছে।এতে ৬টি প্লাটুন রয়েছে,যার মধ্যে ৩টি ছেলেদের ও ৩টি মেয়েদের। প্রত্যেক প্লাটুনে ৩৩ জন করে ক্যাডেট আছে।