সততা,মেধা আর পরিশ্রম এই তিনটিকে পূঁজি করে বড় উদ্যোক্তা হওয়ার পথে হাঁটছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা পুষ্টিবিদ মুরাদ পারভেজ।
নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি ২০২০ সালের জুন মাসে শুরু করেন ই-কমার্স। রাজশাহীর কেমিক্যালমুক্ত ফ্রেশ আম বিক্রি দিয়ে এভাবেই ই-কমার্সে কাজ শুরু তার।
আম বিক্রির সাথে চলে মাটির তৈজসপত্র বিক্রি। সেখানেও ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করেন তিনি। এবার তিনি বিক্রি করছেন ভেজালমুক্ত রাজশাহীর গুড়, ফ্রেশ মধু এবং ঘি।
শীত মৌসুমে তার ব্যবসায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে ৪৭ জন শ্রমিকের।আর তার তৈরি গুড় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
পুষ্টিবিদ মুরাদ পারভেজ জানান, গত দুই বছর আট মাসে তার দেড় কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে।নিজের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজ 'ম্যাংগো লাভার' থেকে পণ্যের মার্কেটিং করেন তিনি।প্রতিদিন অসংখ্য অর্ডার আসে তার।ভেজালমুক্ত খাদ্য নায্যদামে পেয়ে খুশি ক্রেতারাও।
এই পুষ্টিবিদ বলেন,নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করাই আমার লক্ষ্য ছিল।আজকাল সব পণ্যে ভেজাল।ভেজালমুক্ত খাদ্য তৈরি ও সরবরাহের শপথ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে নেমে পড়েছি কাজে।চাকরির পেছনে ছুটিনি আমি। নিজেই নিজের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছি।পাশাপাশি আরো অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছি। ৩৭ জন কৃষক আমার এখানে কাজ করছে৷
তিনি বলেন,আমার তৈরি পণ্য যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৩১টি দেশে গুড় পাঠিয়েছি।আমার ব্যবসায়ের ব্যতিক্রমী দিকটি হলো আমি এক টাকাও অগ্রিম নেইনা।পণ্য হাতে পেয়ে সন্তুষ্ট হয়ে ক্রেতারা টাকা দেন।এটাই আমার বিশেষত্ব।আমার স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে।একদিন বড় মাপের উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে গ্রামে গিয়ে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি অনেকে।তবে আগে তারা সমালোচনা করলেও এখন আমার সাফল্য দেখে প্রশংসা করেন।আমি এগিয়ে যেতে চাই সবার দোয়া আর ভালোবাসা নিয়ে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিহাল খান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।