ঢাকা ০৯:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
২১১৫ পিস ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে মাদক ব্যবসায়ী উজ্জল আটক ডিবির হাতে ইয়াবাসহ নারী মাদক কারবারি আটক বাঘায় আদালতের রায় উপেক্ষা করে জমি জবরদখল চেষ্টা,প্রতিবাদে মানববন্ধন লালমনিরহাট -১ আসনে আনোয়ারুল ইসলাম রাজুকে এমপি হিসেবে দেখতে চায় জনগণ শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বের ছোঁয়ায় দেশ বদলে গেছে : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অগণতান্ত্রিক সরকারকে হঠাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : নিতাই রায় চৌধুরী রুয়েটে ক্লাস শুরু ৩০ সেপ্টেম্বর,র‍্যাগিংয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩১৫ বি১, বাংলাদেশ এর শুকরানা দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত নিন্দুককে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে ডা: তহিদ রাসেল ফিরতে চান নতুন রুপে বর্ণিল আয়োজনে জয়নিউজ বিডি ডট কমের ৫ম বর্ষপূর্তি উদযাপন

অপরিকল্পিত তাঁত শিল্পের বর্জ্য,পানি ও শব্দ দুষণে অতিষ্ঠ জনজীবন!

আবু মুছা,বেলকুচি প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০১:৫১:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩ ১২২ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় অপরিকল্পিত ভাবে তাঁত শিল্প গড়ে উঠায় জনজীবন হুমকির মুখে।তাঁত শিল্পের সুতা প্রক্রিয়াকরণ কেমিক্যাল বর্জ্যে দুষিত হচ্ছে পানি।আর এই পানি বিভিন্ন ফসলি জমির উর্বরতা নষ্ট করছে এবং সেই সাথে দুষিত পানি জমা থাকার জন্য জলাশয় গুলোতে পুর্বে মাছ চাষ হলেও এখন আর মাছ চাষ হচ্ছে না।

এছাড়া তাঁত ফ্যাক্টরির মালিকগণ একের পর এক অপরিকল্পিত তাঁত কারখানা তৈরি করে শব্দ দুষণ, বায়ু দুষণ,পানি দুষণের এক মহােউৎসবে করেছে।এতে করে শিশুসহ সকল মানুষের পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

এবিষয়ে তাঁত শ্রমিক শাহাদাত হোসেন জানান,বিদ্যুৎ চালিত পাওয়ারলুম মেশিনে প্রচুর শব্দ হওয়ায় শ্রমিকের কানে সমস্যা হচ্ছে সেই সাথে তাঁতের কাপড়ের ফেব্রিকস ধুলো বাতাসে মিশে শ্বাসকষ্টসহ ফুসফুসে নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। শব্দের ফলে আমি নিজেও এখন কানে কম শুনি। তাঁত মালিকগণ লাভবান হচ্ছে। তারা একেকজন তিন চারটা ফ্যাক্টরি দিচ্ছে কিন্তু আমাদের কিছুই হচ্ছে না। আর আমরা যে আয় করি সেটা দিয়ে পরিবার নিয়ে চলতেই হিমসিম খেতে হয়। সরকারের কাছে আবেদন তারা যেন আমাদের একটু দেখেন।

স্থানীয়রা জানান,তাঁত শিল্প আমাদের একটি ঐতিহ্য আমরা চাই এ শিল্পের আরও উন্নতি হোক, কিন্তু বর্তমানে যে যার মতো এই শিল্প গড়ে তুলে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি করছে।এই শিল্পের সাথে জরিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও সরকারি কোন নীতিমালা না থাকায় দিনের পর দিন অপরিকল্পিত তাঁত কারখানা স্থাপন করে এলাকায় বসবাসরত জন জীবনে অতিষ্ঠ করে তুলছে। সেই সাথে পানি, বায়ু, শব্দ ত্রিমুখী দুষণের ফলে শিশুসহ সকলে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এ, কে, এম মোফাখখারুল ইসলাম জানান,যত্রতত্র কারখানাগুলো হবার কারনণ আমাদের এখানে শব্দ দুষণ, বায়ু দুষণ ও পানি দুষণ হচ্ছে।যার ফলে কারখানাগুলোর আশেপাশের মানুষ ও যারা কাজ করে তাদের শ্রবন শক্তি কমে যাচ্ছে। আর কারখানাগুলো সবখানে না হয়ে যদি ইপিজেড বা একটা বাউন্ডারির মাঝে সুপরিকল্পিত ভাবে স্থাপন করা যেত তাহলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

অপরিকল্পিত তাঁত শিল্পের বর্জ্য,পানি ও শব্দ দুষণে অতিষ্ঠ জনজীবন!

আপডেট সময় : ০১:৫১:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় অপরিকল্পিত ভাবে তাঁত শিল্প গড়ে উঠায় জনজীবন হুমকির মুখে।তাঁত শিল্পের সুতা প্রক্রিয়াকরণ কেমিক্যাল বর্জ্যে দুষিত হচ্ছে পানি।আর এই পানি বিভিন্ন ফসলি জমির উর্বরতা নষ্ট করছে এবং সেই সাথে দুষিত পানি জমা থাকার জন্য জলাশয় গুলোতে পুর্বে মাছ চাষ হলেও এখন আর মাছ চাষ হচ্ছে না।

এছাড়া তাঁত ফ্যাক্টরির মালিকগণ একের পর এক অপরিকল্পিত তাঁত কারখানা তৈরি করে শব্দ দুষণ, বায়ু দুষণ,পানি দুষণের এক মহােউৎসবে করেছে।এতে করে শিশুসহ সকল মানুষের পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

এবিষয়ে তাঁত শ্রমিক শাহাদাত হোসেন জানান,বিদ্যুৎ চালিত পাওয়ারলুম মেশিনে প্রচুর শব্দ হওয়ায় শ্রমিকের কানে সমস্যা হচ্ছে সেই সাথে তাঁতের কাপড়ের ফেব্রিকস ধুলো বাতাসে মিশে শ্বাসকষ্টসহ ফুসফুসে নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। শব্দের ফলে আমি নিজেও এখন কানে কম শুনি। তাঁত মালিকগণ লাভবান হচ্ছে। তারা একেকজন তিন চারটা ফ্যাক্টরি দিচ্ছে কিন্তু আমাদের কিছুই হচ্ছে না। আর আমরা যে আয় করি সেটা দিয়ে পরিবার নিয়ে চলতেই হিমসিম খেতে হয়। সরকারের কাছে আবেদন তারা যেন আমাদের একটু দেখেন।

স্থানীয়রা জানান,তাঁত শিল্প আমাদের একটি ঐতিহ্য আমরা চাই এ শিল্পের আরও উন্নতি হোক, কিন্তু বর্তমানে যে যার মতো এই শিল্প গড়ে তুলে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি করছে।এই শিল্পের সাথে জরিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও সরকারি কোন নীতিমালা না থাকায় দিনের পর দিন অপরিকল্পিত তাঁত কারখানা স্থাপন করে এলাকায় বসবাসরত জন জীবনে অতিষ্ঠ করে তুলছে। সেই সাথে পানি, বায়ু, শব্দ ত্রিমুখী দুষণের ফলে শিশুসহ সকলে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এ, কে, এম মোফাখখারুল ইসলাম জানান,যত্রতত্র কারখানাগুলো হবার কারনণ আমাদের এখানে শব্দ দুষণ, বায়ু দুষণ ও পানি দুষণ হচ্ছে।যার ফলে কারখানাগুলোর আশেপাশের মানুষ ও যারা কাজ করে তাদের শ্রবন শক্তি কমে যাচ্ছে। আর কারখানাগুলো সবখানে না হয়ে যদি ইপিজেড বা একটা বাউন্ডারির মাঝে সুপরিকল্পিত ভাবে স্থাপন করা যেত তাহলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতো।