পুরাতনকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের আবির্ভাব ঘটেছে কয়েকদিন আগে।নতুনত্বের পথে এখন ২০২৩। সফলতা-ব্যর্থতা, আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না সব মিলিয়েই কাটে আমাদের প্রতিটা বছর।কারো কারো খুব ভালো সময় যায়, আবার কারো ভালো-খারাপ মিলিয়ে দিন-মাস ঘুরে চলে যায় সম্পূর্ণ একটি বছর।
পেশায় একজন শিক্ষার্থী ও তরুণ লেখক সুমনুল্লাহ সুমন।”যমুনা প্রতিদিন”এর সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি জানান,২০২২ সালটি কেমন কেটেছে তার।প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি,আশা আকাঙ্ক্ষা ও সমাজ নিয়ে ভাবনাসহ আরও অনেক কিছু উঠে আসে য়চায়ের আড্ডায়।
আড্ডার শুরুতেই বলেন,২০২২ সাল আমার কাছে একটি অভিশপ্ত বছর।অপ্রাপ্তির হিসেব নেই। নানাবিধ পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছি।জীবনের আরো কয়েক প্রকার সংজ্ঞা জেনেছিথমকে গেছি,হেসেছি,কেঁদেছি। চোখের জল মুছে আবার নতুন করে দৌড়েছি।অন্যান্য সালগুলোর মতোই প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তির মাঝে ভালো ছিল।
এই বছরে অর্জন কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০২২ সাল যে একেবারেই জঘন্য কেটেছে তা নয়।কিছুটা প্রাপ্তি-অর্জনও তো আছে।পেয়েছি! কালক্ষেত্রে চাহিদার চেয়েও বেশি কিছু পেয়েছি। তবে ২২ এর সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল আমার প্রতি মানুষের ভালবাসা এবং গ্রহনযোগ্যতা। আমি তাতেই বেশ খুশি।
এই তরুণ লেখক মনে করেন আগের থেকে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে আগের থেকে মানুষের জীবনযাত্রার মানের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।মানুষ বদলেছে, যামানা বদলেছে কিন্তু মানসিকতার কোনো পরিবর্তন দেখিনি।মানুষের চিন্তা-ভাবনা, মননশীলতা, রুচিবোধ মনে হয় অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়ার মতোই অবস্থা।
জীবন থেকে কাউকে হারিয়েছেন কী? সেই ঘটনা জানতে চাই তার কাছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, দেখুন মানুষ তো অনেক কিছু হারায়, অনেক কিছু ফুরায়। তবে আমার বেলায় ব্যতিক্রম হবে কেন?? তবে অনেককিছু ছুড়ে ফেলে দিয়েছি। আমার একটা বদঅভ্যেস হচ্ছে কোনোকিছু হারিয়ে গেলে দ্বিতীয়বার খুঁজিনা।তাহলে ছুঁড়ে ফেলা পণ্যের কি হাল হবে ভাবুন।
নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে তিনি সবার উদ্দ্যেশ্যে বলেন, আমি বলব “চুপ থাকুন”।ভয়ংকর এবং কঠিন পরিস্থিতিতেও চুপ থাকুন। চুপ থাকাটা অহংকার নয় বরং ধৈর্য এবং ভদ্রতা। তাতে আশপাশের মানুষগুলো চিনতে পারবেন। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, কঠিন পরিস্থিতিতে চুপ থাকলে বড় ভুল হওয়ার থেকে বাঁচবেন।চুপ থাকার কৌশল অবলম্বন করে আমি বহুবার জিতে গেছি।
নতুন বছরের রেজ্যুলেশন কী? নিজের কোন বিষয়ে পরিবর্তন আনতে চান? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আসলে বছর নতুন হলেও তো আমরা নতুন হইনা, সবকিছুই আগের মতো থাকে।
তবে বিগত দিনগুলিতে পর্যবেক্ষণ করে জেনেছি সবার সাথে, সবকিছুর সাথে দূরত্ব বজায় রাখা ভালো। ভেবেছি, সবার সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেবো, কিছু সম্পর্কের ইতিটানব। সবার সাথে সাক্ষাৎ হবে, কথা হবে কেবলমাত্র আমার লেখার মাধ্যমে।
এই তরুণ লেখকের কাছ থেকে তার পাঠকমহলের উদ্দ্যেশ্যে কিছু বলবে কীনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,কয়েকটা কবিতা লেখেছি। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে সম্ভবত আসন্ন বইমেলায় ” জৈবিক দহন” শিরোনামে নতুন একটা কাব্যগ্রন্থ উপহার দিবো পাঠক মহলকে ইনশাআল্লাহ।