ঢাকা ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
আমের বাণিজ্যিক রাজধানী সাপাহারে চলছে পরিপক্ক আম কেনাবেচা মধুপুরে জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ ভাঙ্গায় অবৈধ স্থাপনাসহ ১৫০ দোকানপাট দখলমুক্ত কমলনগরে ছাত্রলীগের ৬ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত শিশু শাহজাহানকে উদ্ধার করল গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ দাইপুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণে বিলম্ব হওয়ায় সংক্ষুদ্ধ বীর মুক্তিযোদ্ধারা,দ্রুত নির্মাণের দাবি জয়পুরহাটে বিশিষ্ট নাগরিক ও সাংবাদিকদের সাথে হুইপ স্বপনের মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত সুজানগরে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক মানববন্ধন নাট্যকার মোহন খানের মৃত্যুতে চিত্রনায়িকা শাহনূরের শোক

সঙ্গীতশিল্পী কোনাল’র মাস্টার্স সম্পন্ন

রিয়েল তন্ময়,বিনোদন প্রতিবেদক :
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩ ৮৬ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কণ্ঠশিল্পী সোমনূর মনির কোনাল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে ৩.৮৯ (৪.০০) সিজিপিএ নিয়ে আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্টে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন।

গত ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত কনভোকেশনের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন তিনি।সেখানে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তার এ অর্জনের পেছনে থাকা মানুষগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

কোনাল তার প্রয়াত বাবার কথা তুলে ধরে লিখেছেন, আব্বু শুধু বলতো, “আমি থাকতে থাকতে তুমি আর অর্ক পড়াশোনাটা শেষ করো।”কি ভেবে বলতেন জানিনা, তবে আব্বু থাকাকালীন পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন শুরু করতে পেরেছিলাম।অসুস্থ আব্বুর হাসপাতাল বিছানার পাশে বসেও আমি ক্লাস করেছি।কিন্তু আমার এই শেষ দেখার জন্য আব্বুই থাকল না।আব্বুকে তাঁর মাটির বিছানায় শোয়ানোর পর যখন গ্রামে থাকতে লাগলাম বেশ অনেকদিন; তখন ভাঙা ইন্টারনেট দিয়ে ক্লাস করেছি, পরীক্ষা দিয়েছি।দাদি পাশে বসে থাকতেন, আমাকে সঙ্গ দিতেন।মা তখনো হাসপাতালে ছিলেন।

কোনাল তার মায়ের বিষয়ে লিখেছেন, আমার মা সায়মা মনির মিনু, আমার স্বর্গ।সারাজীবন নিজের আরাম- আয়েশ- শখ- আহ্লাদ বিসর্জন দিয়েছেন।কারণ তিনি চেয়েছেন আমার যেন কোনো অপূর্ণতা না থাকে জীবনে।আম্মু এখনো বলেন, আমি বেঁচে থাকতে তোমার পড়াশোনা যেন না থামে।

জীবনসঙ্গী সংবাদকর্মী মনজুর কাদের জিয়ার কথা কোনাল বলতে ভুল করেননি।তার বিষয়ে কোনালের ভাষ্য, মনজুর কাদের জিয়া আমার পাশে এই পুরো পথচলায় ছায়ার মতো থেকেছে।আমার নির্ঘুম রাতগুলোর পার্টনার, আমার ঝন্টু মিয়া ওরফে জিয়া।ও আমাকে নিয়ে যত স্বপ্ন দেখে, নিজেকে নিয়েও দেখে না হয়তো।

সবশেষে ছোট ভাই অর্ক’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কোনাল লিখেন, আমার ভাইটা অর্ক।আমার চেয়ে বয়সে ছোট।কিন্তু কত কিছু যে আমাকে পড়িয়েছে-শিখিয়েছে।ও আমার সবচেয়ে বড় গাইড।আমার এনসাইক্লোপিডিয়া।এই মানুষগুলোর জন্যই সম্ভব হয়েছে সব কিছু।

সবশেষে সবার দোয়া চেয়ে কোনাল লিখেছেন, গতকাল শেষ হয়েছে জীবনের এই ছোট্ট অধ্যায়।আর এখন শুরু হবে আরেকটা।সবার দোয়া চাই।একদম শেষে কোনাল দিয়েছেন ভালোবাসার প্রতীক, হৃদয়ের ইমুজি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সঙ্গীতশিল্পী কোনাল’র মাস্টার্স সম্পন্ন

আপডেট সময় : ০৯:৫৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

কণ্ঠশিল্পী সোমনূর মনির কোনাল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে ৩.৮৯ (৪.০০) সিজিপিএ নিয়ে আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্টে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন।

গত ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত কনভোকেশনের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন তিনি।সেখানে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তার এ অর্জনের পেছনে থাকা মানুষগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

কোনাল তার প্রয়াত বাবার কথা তুলে ধরে লিখেছেন, আব্বু শুধু বলতো, “আমি থাকতে থাকতে তুমি আর অর্ক পড়াশোনাটা শেষ করো।”কি ভেবে বলতেন জানিনা, তবে আব্বু থাকাকালীন পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন শুরু করতে পেরেছিলাম।অসুস্থ আব্বুর হাসপাতাল বিছানার পাশে বসেও আমি ক্লাস করেছি।কিন্তু আমার এই শেষ দেখার জন্য আব্বুই থাকল না।আব্বুকে তাঁর মাটির বিছানায় শোয়ানোর পর যখন গ্রামে থাকতে লাগলাম বেশ অনেকদিন; তখন ভাঙা ইন্টারনেট দিয়ে ক্লাস করেছি, পরীক্ষা দিয়েছি।দাদি পাশে বসে থাকতেন, আমাকে সঙ্গ দিতেন।মা তখনো হাসপাতালে ছিলেন।

কোনাল তার মায়ের বিষয়ে লিখেছেন, আমার মা সায়মা মনির মিনু, আমার স্বর্গ।সারাজীবন নিজের আরাম- আয়েশ- শখ- আহ্লাদ বিসর্জন দিয়েছেন।কারণ তিনি চেয়েছেন আমার যেন কোনো অপূর্ণতা না থাকে জীবনে।আম্মু এখনো বলেন, আমি বেঁচে থাকতে তোমার পড়াশোনা যেন না থামে।

জীবনসঙ্গী সংবাদকর্মী মনজুর কাদের জিয়ার কথা কোনাল বলতে ভুল করেননি।তার বিষয়ে কোনালের ভাষ্য, মনজুর কাদের জিয়া আমার পাশে এই পুরো পথচলায় ছায়ার মতো থেকেছে।আমার নির্ঘুম রাতগুলোর পার্টনার, আমার ঝন্টু মিয়া ওরফে জিয়া।ও আমাকে নিয়ে যত স্বপ্ন দেখে, নিজেকে নিয়েও দেখে না হয়তো।

সবশেষে ছোট ভাই অর্ক’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কোনাল লিখেন, আমার ভাইটা অর্ক।আমার চেয়ে বয়সে ছোট।কিন্তু কত কিছু যে আমাকে পড়িয়েছে-শিখিয়েছে।ও আমার সবচেয়ে বড় গাইড।আমার এনসাইক্লোপিডিয়া।এই মানুষগুলোর জন্যই সম্ভব হয়েছে সব কিছু।

সবশেষে সবার দোয়া চেয়ে কোনাল লিখেছেন, গতকাল শেষ হয়েছে জীবনের এই ছোট্ট অধ্যায়।আর এখন শুরু হবে আরেকটা।সবার দোয়া চাই।একদম শেষে কোনাল দিয়েছেন ভালোবাসার প্রতীক, হৃদয়ের ইমুজি।