বাউফলে উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদারের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

- আপডেট সময় : ০৯:৪৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩ ৯৬ বার পড়া হয়েছে

বিপুল পরিমান পুলিশ ও র্যাবের উপস্থিতিতে পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ওপর হামলা ও কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদে ২১ মার্চ মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সহিংসতা এড়াতে উপজেলা সদরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিপুল পরিমান র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ১৭ মার্চ শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিকে ঘিরে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের সংঘর্ষ হয়।এতে পুলিশসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন।
ওই সংঘর্ষের সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ওপর হামলার প্রতিবাদে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে আবদুল মোতালেবে হাওলাদারের কর্মীরা।গত রোববার তাঁরা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বাউফল পৌরসভার কাগুজিরপুল এলাকা থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।
মিছিলটি গোলাবাড়ি, বাউফল প্রেসক্লাব, শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়াম ও বাজার রোড হয়ে থানার পাশে ইলিশ চত্বরে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
এতে বক্তাব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তালুকদার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, মদনপুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম মোস্তফা, বাউফল সদর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম, জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রেজাউল কামাল ওরফে পল্টু প্রমূখ।
মিছিলে আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের তিন সহাস্রাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ওপর হামলার ঘটনাকে পরিকল্পিত এবং তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওই হামলা হয়েছে বলে দাবি করেন।
তারা ওই হামলার ঘটনার জন্য সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজকে দায়ী করে বলেন, আ স ম ফিরোজের উপস্তিতিতে তার দুই ভাতিজা মনির হোসেন মোল্লা ও আলকাচ মোল্লার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী দলের সবচেয়ে ত্যাগী নেতা আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে।
বক্তারা আ স ম ফিরোজের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।