বগুড়ায় মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন হতদরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের ১২৯ জন নারী পুরুষ।কোনো প্রকার হয়রানি বা মামু-খালুদের তদ্বির এবং ঘুষ ছাড়া সোনার হরিণ নামক চাকরি পেয়ে খুশিতে আত্মহারা এসব তরুণ-তরুণী।
রবিবার রাত সাড়ে ১১টায় পুলিশ লাইন্সে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন।
এতে ১১০ জন পুরুষ ও ১৯ জন মেয়ে প্রাথমিকভাবে ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।এর আগে প্রার্থীরা ১২০ টাকা ব্যয়ে (ব্যাংক ড্রাফট) করে ছিলেন।
এমন স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিনামূল্যে চাকরি পেয়ে পুলিশ সুপারকে খুশিতে কান্নায় জড়িয়ে ধরেন অনেক অভিভাবক।
পরে দুপুরে বগুড়া পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে কনস্টেবল পদে ১২৯ জন উত্তীর্ণকে বরণ করে নেয় জেলা পুলিশ।
এসময় পুলিশ সুপার বলেন, প্রতিটি মানুষ যদি তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সৎ হয়ে কাজ করেন তাহলে দেশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।স্মার্ট পুলিশ তৈরি করার জন্য ঢাকা পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সহযোগিতায় স্বচ্ছভাবে বগুড়াতে ১২৯ জনকে নিয়োগ দিয়েছি।এখানে সবাই মেধাবী।এরা রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে।ঘুষ ছাড়া যেহেতু চাকরি হয়েছে তারা সৎভাবেই দায়িত্ব পালন করবেন বলে আমি মনে করি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) গাজিউর রহমান, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়ইগ্রাম সার্কেল) মো. রাজীব, বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরাফত ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) হেলেনা আকতার, সহকারী পুলিশ সুপার (শিবগঞ্জ-সোনাতলা) তানভীর হাসান।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিহাল খান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।