পটুয়াখালীর গলাচিপায় কয়েক বছর ধরেই তরমুজ চাষে বেশ আগ্রহী হয়েছেন চাষিরা।পলি মাটি ও মিষ্টি পানি থাকায় ফলন ভালো হয়ে এই অঞ্চলে সফলতাও পাচ্ছেন তারা।প্রতি বছরের মতো এ বছরও সম্ভাব্য লাভ জনক এই ফল চাষে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কৃষকের সংখ্যাও।
উপযোগী ও অনাবাদি জমিতে গড়ে উঠেছে তরমুজের আবাদ।তবে পহেলা চৈত্র থেকেই, দক্ষিণা বাতাসে আবহাওয়ার পরিবর্তন ও কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কায় আতঙ্কে চাষিরা।
গলাচিপা উপজেলার রতনদী তালতলী, চর কাজল, চর বিশ্বাস, গলাচিপা সদর ইউনিয়ন তরমুজ চাষিরা সহ দুশ্চিন্তায় সময় কাটাচ্ছেন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মানুষগুলো।
এদিকে গত কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায়, শিলা ও হালকা মাঝারি বৃষ্টি হলেও গলাচিপায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে।এতে বড় ধরণের কোন ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন গলাচিপার কৃষকরা।
এ বিষয়ে গলাচিপা পৌরসভার প্রেম পুল নামক স্থানের চাষি চুন্নু মিয়া বলেন, আমাদের কিছু গাছে ফল ১০-১২ কেজি, কিছু গাছে মাত্র ফল আসতে শুরু করেছে এখন যদি কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টি হয়ে, জমিতে পানি জমাট বাঁধে তাহলে তরমুজ নষ্ট হবে এবং গাছ গুলো মরে যাবে।
এদিকে বিভাগীয় আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলায় +২৪…+২৬…থেকে ৫ মিলিমিটার বেগে হতে পারে শিলা বৃষ্টি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার বলেন, বড় ধরনের কোন দুর্যোগ হলে তো আমাদের কিছু করার থাকবে না।আর ছোট খাটো ঝড় বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রেখে ক্ষেত তৈরি করা হয়েছে।প্রতিটি ক্ষেতের মাঝে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রোনেজ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।তবে শীলা বৃষ্টি হলে ফসলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।