রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার মাসিক মিটিং এ ফাঁকা রেজুলেশন স্বাক্ষর না করায় পাঁচ কাউন্সিলরকে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ভুক্তভোগি ওই পাঁচ কাউন্সিলর রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার মেয়র মো.শহিদুজ্জামান শহিদ প্রথম থেকে মাসিক মিটিং এ ফাঁকা রেজুলেশনে স্বাক্ষর নেয়।কারণ জানতে চাইলে মেয়র বলেন, এটাই তার নিয়ম।পরবর্তীতে ফেব্রুয়ারী ও মার্চ-২০২৩ মাসের মাসিক মিটিং এ স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ পাঁচ কাউন্সিলরকে বহিষ্কারের হুমকি প্রদান করেন।
এর আগে ওই পাঁচ কাউন্সিলর মেয়রের বিরুদ্ধে পৌরসভার বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল পৌরসভা পরিদর্শনকালে কাউন্সিলরদের পৌরসভার বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, মাসিক মিটিং এ মেয়র ফাঁকা রেজুলেশনে স্বাক্ষর করে নেয়।ওই সময় জেলা প্রশাসক মেয়রকে ফাঁকা রেজুলেশন স্বাক্ষর না নিতে নিষেধ করেন।পূর্ণাঙ্গ রেজুলেশন লিখার পর কাউন্সিলরদের স্বাক্ষরের নির্দেশ প্রদান করেন।কিন্তু পরপর দুই মাসের মাসিক মিটিং এ ফাঁকা রেজুলেশন স্বাক্ষর না করায় গত ১৫ মার্চ মাসিক মিটিং এ পাঁচ কাউন্সিলরকে বহিষ্কারের হুমকি প্রদান করেন মেয়র।
এছাড়াও পৌরসভার একরামুল হক নামের এক কাউন্সিলর বাদি হয়ে মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদের বিরুদ্ধে ১৭ কোটি টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।যা বর্তমানে দুদক তদন্ত করছেন।
এ বিষয়ে কেশরহাট পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান শহীদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ফাঁকা রেজুলেশন স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।ওই পাঁচ কাউন্সিলর আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করে হয়রানি করছেন।
এবিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিহাল খান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।