ভাটফুলের সোন্দর্যে আকৃষ্ট হয় প্রকৃতি প্রেমিরা

- আপডেট সময় : ০৮:১০:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩ ৭২ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ে রাস্তার পাশে অযত্নে, অনাদরে ও অবহেলায় বেড়ে ওঠা গ্রামবাংলার অতি পরিচিত গুল্মজাতীয় বহুবর্ষজীবী বুনো উদ্ভিদ হচ্ছে ভাঁট গাছ।
রাস্তার দু’পাশে, গ্রামের আঁকাবাঁকা মেঠো পথে, আনাচে কানাচে অযত্নে অবহেলা প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা ফোটা শুভ্র সাদা ভাঁট ফুল চোখ জুড়াচ্ছে প্রকৃতি প্রেমিদের।
গ্রাম বাংলার চিরচেনা এ ফুলটি হরহামেশা দেখা গেলেও সাদা ফুলের দিকে তাকালে অনেকের মন ভালো হয়ে যায়।পবিত্র একটা অনুভূতি জাগে।
অঞ্চলভেদে এই গাছের ফুল ভাইটা ফুল, ঘেটু ফুল, ভাত ফুল, বনজুঁই ফুল, ঘণ্টাকর্ণ হলেও ঠাকুরগাঁওয়ে ভাঁট ফুল নামে সমধিক পরিচিত।চৈত্র মাসে এই ফুল ফোঁটে বলে একে চৈত্রের ফুলও বলা হয়।
ঠাকুরগাঁওয়ের পাহাড়ভাঙ্গা কুড়ালি পাড়া গ্রাম থেকে চিলারং ইউনিয়ন যাওয়ার পথে রাস্তার দুই পাশে ভাঁট ফুলের সমারোহ দেখলে মনে হবে প্রকৃতি যেন অপরূপ সাজে সেজেছে।এছাড়া জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা চার পাশের বাগানগুলোতে ভাঁট ফুলের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হবেন যে কেউ।চলাচলকারীরা তা দেখে মুগ্ধ হন।
বসন্তের আগমনে পলাশ-শিমুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই ফুল ফোঁটে।এই ফুল ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে দেখা যায়।বিশেষ করে পরিত্যক্ত মাঠ, বন, রাস্তা কিংবা জলাশয়ের পাশে ভাঁট ফুলের ঝোঁপ চোখে পড়ে।এর বৈজ্ঞানিক নাম, ক্লেরোডেনড্রাম ভিসকোসাম।ইংরেজি নাম হিল গেন্টারি বোয়ার ফ্লাওয়ার।ভাঁট ফুলের আদি নিবাস ভারতবর্ষ, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার অঞ্চলে।
তবে যতদিন যাচ্ছে ততই হারিয়ে যাচ্ছে এই প্রজাতির ফুল।এখন বেশ দুর্লভ।গ্রামে কমেছে, শহরে তেমন চোখে পড়ে না।কিন্তু ফুলপ্রেমীরা খুঁজলে নিরাশ হবেন না।
নিজ উদ্যোগে বেঁচে থাকা ভাঁট গাছের প্রধান কান্ড সোজাভাবে দন্ডায়মান, সাধারণত ২ থেকে ৪ মিটার লম্বা হয়।পাতা ৪ থেকে ৭ ইঞ্চি লম্বা হয়।দেখতে কিছুটা পানপাতার আকৃতির ও খসখসে।ডালের শীর্ষে পুষ্পদন্ডে ফুল ফোঁটে।পাপড়ির রং সাদা এবং এতে বেগুনি রঙের মিশ্রণ আছে।বসন্ত থেকে গ্রীষ্ম অবধি ফুল ফোঁটে।এই ফুলের রয়েছে মিষ্টি সৌরভ।রাতে বেশ সুঘ্রাণ ছড়ায় এই ফুল।ফুল ফোঁটার পর মৌমাছিরা ভাঁট ফুলের মধু সংগ্রহ করে।
ফুল গাছটি ভাঁট বলে পরিচিত হলেও স্থানভেদে এবং ভিন্ন ভিন্ন জনগোষ্ঠীতে এর ভিন্ন ভিন্ন নামও রয়েছে।অনেকে একে বনজুঁইও বলেন।এ গাছের ভেষজ গুণাগুণও রয়েছে।