ঢাকা ০৪:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::

কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে : সৈয়দ আহমদ শফী আশরাফী

নিজস্ব প্রতিবেদক,যমুনা প্রতিদিনঃ
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৫:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩ ৭৮ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হযরত মুহাম্মদ সা. শেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী।তাঁর পর আর কোন নবী আসবে না।এটা হলো সকল মুসলমানদের আকিদা ও বিশ্বাস।যদি কেউ নবী মুহাম্মদ সা. কে শেষ নবী না মানে, অন্য কাউকে নবী মানে তাহলে কুরআন সুন্নাহ ইজমা কিয়াস অনুযায়ী সে কাফের।

বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদিসে স্বয়ং হযরত মুহাম্মদ সা. বলেন- আমি সর্বশেষ নবী।আমার পর আর কোন নবী নাই।

সুতরাং কাদিয়ানী সম্প্রদায় মিস্টার গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে নবী মানে।ফলে তারা ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে গেছে।তাই, কাদিয়ানীদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।

গত ১০ মার্চ ঢাকার লালবাগে অবস্থিত মদিনাতুল উলূম দারুস সুন্নাহ মাদরাসার উদ্যোগে আয়োজিত বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ন্যাশনাল সবুজ বাংলা পার্টি’র মহাসচিব সৈয়দ আহমদ শফী আশরাফী এসব কথা বলেন।

উক্ত ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ঐতিহ্যবাহী লালবাগ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ।

প্রধান বক্তা ছিলেন মাওলানা এহতেরামুল হক কাসেমী পীর সাহেব উজানী, মুফতী ফয়জুল্লাহ সাহেব মঈনে মুহতামিম লালবাগ মাদরাসা, মাওলানা মুফাজ্জল হোসাইন শিক্ষাসচিব যাত্রাবাড়ি বড় মাদরাসা।

প্রধান অতিথি ছিলেন আলহাজ্ব আব্দুর রহমান চেয়ারম্যান মহানগর কমপ্লেক্স, প্রধান মেহমান ছিলেন আলহাজ্ব মুকাদ্দেস হোসেন জাহিদ কাউন্সিলর ২৪ নং ওয়ার্ড।

উক্ত মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুফতী আল আমিন মাসউদ বিন আলম মাহমুদী সাহেবের দিকনির্দেশনায় মাহফিল পরিচালনা করেন জনাব আলম হাওলাদার ও হাফেজ মাসুম বিল্লাহ।

ন্যাশনাল সবুজ বাংলা পার্টি’র মহাসচিব সৈয়দ আহমদ শফী আশরাফী আরো বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাদিয়ানীদেরকে কাফের বা অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে।বাংলাদেশে তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ধর্মকর্ম পালন করুক আমাদের কোন আপত্তি নাই।কিন্তু সরলমনা মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করলে তা মেনে নেওয়া হবে না।ইসলামের নামে, নবুওয়াতের নামে ধোঁকা দিলে প্রতিহত করা হবে।সালানা জলসার নামে প্রতিবছর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে।পঞ্চগড়ের মুসলিম তাওহিদী জনতা ফুঁসে ওঠে।ফলে, অপ্রিতিকর পরিস্থিতি জন্ম দেয়, এতে ২ জন মানুষ নিহত হয়।আগামীতে আহমদিয়া মুসলিম জামাত তথা কাদিয়ানীরা যেন আর কোন জলসার আয়োজন করতে না পারে সে বিষয়ে সরকারকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে : সৈয়দ আহমদ শফী আশরাফী

আপডেট সময় : ০৪:৫৫:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

হযরত মুহাম্মদ সা. শেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী।তাঁর পর আর কোন নবী আসবে না।এটা হলো সকল মুসলমানদের আকিদা ও বিশ্বাস।যদি কেউ নবী মুহাম্মদ সা. কে শেষ নবী না মানে, অন্য কাউকে নবী মানে তাহলে কুরআন সুন্নাহ ইজমা কিয়াস অনুযায়ী সে কাফের।

বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদিসে স্বয়ং হযরত মুহাম্মদ সা. বলেন- আমি সর্বশেষ নবী।আমার পর আর কোন নবী নাই।

সুতরাং কাদিয়ানী সম্প্রদায় মিস্টার গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে নবী মানে।ফলে তারা ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে গেছে।তাই, কাদিয়ানীদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।

গত ১০ মার্চ ঢাকার লালবাগে অবস্থিত মদিনাতুল উলূম দারুস সুন্নাহ মাদরাসার উদ্যোগে আয়োজিত বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ন্যাশনাল সবুজ বাংলা পার্টি’র মহাসচিব সৈয়দ আহমদ শফী আশরাফী এসব কথা বলেন।

উক্ত ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ঐতিহ্যবাহী লালবাগ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ।

প্রধান বক্তা ছিলেন মাওলানা এহতেরামুল হক কাসেমী পীর সাহেব উজানী, মুফতী ফয়জুল্লাহ সাহেব মঈনে মুহতামিম লালবাগ মাদরাসা, মাওলানা মুফাজ্জল হোসাইন শিক্ষাসচিব যাত্রাবাড়ি বড় মাদরাসা।

প্রধান অতিথি ছিলেন আলহাজ্ব আব্দুর রহমান চেয়ারম্যান মহানগর কমপ্লেক্স, প্রধান মেহমান ছিলেন আলহাজ্ব মুকাদ্দেস হোসেন জাহিদ কাউন্সিলর ২৪ নং ওয়ার্ড।

উক্ত মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুফতী আল আমিন মাসউদ বিন আলম মাহমুদী সাহেবের দিকনির্দেশনায় মাহফিল পরিচালনা করেন জনাব আলম হাওলাদার ও হাফেজ মাসুম বিল্লাহ।

ন্যাশনাল সবুজ বাংলা পার্টি’র মহাসচিব সৈয়দ আহমদ শফী আশরাফী আরো বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাদিয়ানীদেরকে কাফের বা অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে।বাংলাদেশে তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ধর্মকর্ম পালন করুক আমাদের কোন আপত্তি নাই।কিন্তু সরলমনা মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করলে তা মেনে নেওয়া হবে না।ইসলামের নামে, নবুওয়াতের নামে ধোঁকা দিলে প্রতিহত করা হবে।সালানা জলসার নামে প্রতিবছর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে।পঞ্চগড়ের মুসলিম তাওহিদী জনতা ফুঁসে ওঠে।ফলে, অপ্রিতিকর পরিস্থিতি জন্ম দেয়, এতে ২ জন মানুষ নিহত হয়।আগামীতে আহমদিয়া মুসলিম জামাত তথা কাদিয়ানীরা যেন আর কোন জলসার আয়োজন করতে না পারে সে বিষয়ে সরকারকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।