ঢাকা ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...

এক মাস পর ক্লাসে ফিরলেন ফুলপরী

ইবি প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৬:১৩:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩ ৫২ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে র‍্যাগিংয়ের শিকার ভুক্তভোগী ফুলপরী ক্লাসে ফিরেছেন।দীর্ঘ এক মাস পর সোমবার (১৩ মার্চ) সহপাঠীদের সাথে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেন তিনি।

ফুলপরী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।দীর্ঘদিন পর ক্লাসে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত তিনি।

ফুলপরী বলেন, আজকে প্রথম দিনের ক্লাসের মতো অনুভূতি হচ্ছে।যা ভাষায় প্রকাশ করার মত না।সহপাঠী ও শিক্ষকদের আন্তরিকতা আমাকে আরো বেশি মুগ্ধ করেছে।আমি প্রথমে অনেক ভয়ে ছিলাম।তবে এখন সবকিছু স্বাভাবিক মনে হচ্ছে।

তার সহপাঠীরা বলেন, ফুলপরী যে সাহসিকতা দেখিয়েছে তা আমাদের বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের।যেকোন সময় যেকোন প্রয়োজনে আমরা সবসময় তার পাশে থাকবো।আমরা আমাদের জায়গা থেকে তাকে সব বিষয়ে সহযোগিতা করার সর্বাত্মক চেষ্টা করব।

ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি ড. বখতিয়ার হাসান বলেন, খুব বেশি ক্লাস হয়নি এখনো পর্যন্ত।আমরা তার একাডেমিক ক্ষতিটা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।তার সহপাঠীদের আমি বলে দিয়েছি যাতে তার পড়াশোনায় কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে।

এদিকে গত ৪ মার্চ উচ্চ আদালত থেকে পছন্দের হল বরাদ্দের নির্দেশের পর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সিট বরাদ্দের জন্য আবেদন করেন ফুলপরী।ফলে গত রবিবার ফুলপরী তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে পছন্দের হলে উঠেন।

প্রসঙ্গত, গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় নবীন ছাত্রী ফুলপরীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ কতৃক পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।এছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।তদন্তে সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ৫ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।পাশাপাশি হল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অভিযুক্তদের আবাসিকতা বাতিল করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

এক মাস পর ক্লাসে ফিরলেন ফুলপরী

আপডেট সময় : ০৬:১৩:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে র‍্যাগিংয়ের শিকার ভুক্তভোগী ফুলপরী ক্লাসে ফিরেছেন।দীর্ঘ এক মাস পর সোমবার (১৩ মার্চ) সহপাঠীদের সাথে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেন তিনি।

ফুলপরী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।দীর্ঘদিন পর ক্লাসে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত তিনি।

ফুলপরী বলেন, আজকে প্রথম দিনের ক্লাসের মতো অনুভূতি হচ্ছে।যা ভাষায় প্রকাশ করার মত না।সহপাঠী ও শিক্ষকদের আন্তরিকতা আমাকে আরো বেশি মুগ্ধ করেছে।আমি প্রথমে অনেক ভয়ে ছিলাম।তবে এখন সবকিছু স্বাভাবিক মনে হচ্ছে।

তার সহপাঠীরা বলেন, ফুলপরী যে সাহসিকতা দেখিয়েছে তা আমাদের বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের।যেকোন সময় যেকোন প্রয়োজনে আমরা সবসময় তার পাশে থাকবো।আমরা আমাদের জায়গা থেকে তাকে সব বিষয়ে সহযোগিতা করার সর্বাত্মক চেষ্টা করব।

ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি ড. বখতিয়ার হাসান বলেন, খুব বেশি ক্লাস হয়নি এখনো পর্যন্ত।আমরা তার একাডেমিক ক্ষতিটা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।তার সহপাঠীদের আমি বলে দিয়েছি যাতে তার পড়াশোনায় কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে।

এদিকে গত ৪ মার্চ উচ্চ আদালত থেকে পছন্দের হল বরাদ্দের নির্দেশের পর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সিট বরাদ্দের জন্য আবেদন করেন ফুলপরী।ফলে গত রবিবার ফুলপরী তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে পছন্দের হলে উঠেন।

প্রসঙ্গত, গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় নবীন ছাত্রী ফুলপরীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ কতৃক পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।এছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।তদন্তে সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ৫ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।পাশাপাশি হল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অভিযুক্তদের আবাসিকতা বাতিল করা হয়।