মোংলায় সুন্দরবন থেকে পাচার করে আনা ১৯ কেজি হরিনের মাংসসহ বেল্লাল শরীফ ও সাদ্দাম হোসেন নামের দুই চোরা হরিণ শিকারীকে আটক করেছে স্থানীয়রা।পরে তাদের পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় চাদপাই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড নারকেলতলা ছোট ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় থেকে হরিণের মাংসসহ এ দু’জনকে আটক করা হয়।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম বলেন, নৌকা করে আনা মোংলা নদীর পাড় থেকে মোটরসাইকেল যোগে ৩ ব্যাক্তি বস্তা ভর্তি হরিণের মাংস নারকেলতলা এলাকা দিয়ে অন্যাত্র নিয়ে যাচ্ছিল।এসময় এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তাদের চ্যলেন্স করে বাকবিতান্ডা শেষে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তীর এক পর্যায় মাংস ভর্তি বস্তা ফেলে দৌড়ে পালাতে গেলে স্থানীয়রা ধাওয়া করে দুইজনকে আটক করে।আর অন্যজন মটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।পরে ফেলে রাখা বস্তায় তল্লাশী চালিয়ে চামরা সহ ১৯ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার পর মোংলা থানা পুলিশ খবর পেয়ে এস আই মিরাজুল ইসলাম সহ একদল পুলিশ জনতার হাত থেকে সুলতান শরীফের ছেলে বেল্লাল শরীফ (৩২) ও হাবিবুর রহমান’র ছেলে মোঃ সাদ্দাম হোসেন (৩৫) কে আটক করে।
তারা নারকেলতলা আবাসনের বাসিন্দা।তাদের নামে সুন্দরবনের বন্য প্রানী নিধন আইনে মামলা দায়েরের পর বাগেরহাট আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।