ঢাকা ০৩:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া গলাচিপায় জেলা প্রশাসককে ফুলেল শুভেচ্ছা ঈশ্বরদীতে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৮ শিক্ষক-কর্মচারীকে শোকজ মোরেলগঞ্জে বিশ্ব যক্ষা দিবস পালন বাগেরহাটে জাল টাকা ও সরঞ্জামসহ আটক ১ চিরকুমারত্ব ভেঙ্গে ৩৫ বছরের মেয়েকে বিয়ে করলেন ৭০ বছরের বৃদ্ধ কাজিপুর সরকারি মনসুর আলী কলেজের উপাধ্যক্ষ’র অধ্যাপক পদে পদোন্নতি মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জয়পুুরহাট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বাংলাদেশ বিক্রয় প্রতিনিধি জোট ঢাকা জেলা শাখার কমিটি ঘোষণা বাংলাদেশ বিক্রয় প্রতিনিধি জোটের ঢাকা জেলার মোহাম্মদপুর থানা কমিটি ঘোষণা

অকৃতজ্ঞ মানুষ চেনার উপায় ও তাদের সামলানোর পন্থা

মোঃ রবিউল হাসান,ধুনটঃ
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৭:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩ ১২৪ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জীবনযাত্রার নানান ঘটনার চাপে সবাই কমবেশি অকৃতজ্ঞ হয়ে ওঠে।কিছু ক্ষেত্রে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে না পারলেই যে আপনি অকৃতজ্ঞ হিসেবে গন্য হবেন তা কিন্তু নয়।তবে কিছু মানুষ আছেন যারা সর্বক্ষেত্রেই অকৃতজ্ঞ।যাদের কাছে আপনার উপকার এক সময় অনেক বড় ছিল কিন্ত সময়ের সাথে সাথে ২/৪ দিন পরই সব ভুলে যাবে।মনে হবে সেই অকৃতজ্ঞ ব্যক্তি আপনার একসময় অনেক বড় উপকার করেছিল এমন ভাব ধারন করে থাকবে।

এই মানুষগুলো মনে করে নেন অন্যদের সাহায্য পাওয়াটা তার অধিকার এবং সেজন্য ওই ব্যক্তিকে ধন্যবাদ দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।

মানসিক স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে জানা যায় অকৃতজ্ঞ মানুষ চেনার সম্ভাব্য কিছু উপায়।

সন্তুষ্টি নেই: অকৃতজ্ঞ মানুষগুলোর জীবন যতই ভালো যাক না কেনো তারা কখনই খুশি হতে পারেনা।জীবনে যতই প্রাপ্তি আসুক না কেনো তাদের চাহিদার কোনো সীমা থাকে না।তারা সবসময়ই কোনো না কোনো কিছুর অর্জনের চেষ্টায় মত্ত।জীবনে সফল হওয়া অদম্য চেষ্টা থাকা সাধারণত ভালো দিক।তবে আপনার যা আছে সেটুকুর মূল্যায়ন না করা, সেগুলোর জন্য কৃতজ্ঞ না হওয়া কখনই ভালো দিক নয়।

হিংসাপরায়ন: এই মানুষগুলো অন্যের প্রাপ্তিগুলো যখন দেখে, তখন তা নিজের জন্য আশা করা শুরু করে।তবে সেটা অনুপ্রেরণার দৃষ্টিতে নয়।তারা নিজের জীবনকে সবসময় অন্যের সঙ্গে তুলনা করে।‘অন্যের কি আছে যা আমার নেই’ এই হিংসায় তারা নিমজ্জিত থাকে, তবে ‘আমার যা কিছু অন্যের নেই’ সেদিকে কৃতজ্ঞা নেই।

খিটখিটে মেজাজ: অকৃতজ্ঞ মানুষগুলো খুব সহজেই রেগে যায়।অনেকদিন আগের ঘটা কোনো ঘটনা নিয়ে তারা ক্ষোভ পুষে রাখে।আবার এই মুহূর্তে কিছু একটা ঘটছে যা তার অপছন্দ সেটাও তার মেজাজ বিগড়ে দিতে পারে।

নেতিবাচক প্রত্যাশা: অকৃতজ্ঞ মানুষগুলোর বেশিরভাগই অতীতে বড় কোনো মানসিক কষ্টের শিকার হয়েছেন বা এখনও হয়ে যাচ্ছেন।এই অতীত অভিজ্ঞতার কারণে তারা ইতিবাচক কোনো কিছু আশা করার সাহস হারায়।তাদের ধারণা তার সঙ্গে ভালো কিছু হওয়া কখনই সম্ভব নয়।

তাদের চাওয়ার শেষ নেই: বেশিরভাগ মানুষই অন্যের কাছে কোনো কিছু চাইতে কুন্ঠাবোধ করে।তবে অকৃতজ্ঞ মানুষগুলোর এই সমস্যা নেই।তারা খুব সহজেই অন্যের কাছে কিছু চাইতে পারে।আর তাদের চাওয়ার কোনো শেষ নেই।সবসময়ই তাদের কিছু না কিছু প্রয়োজন।তাদের ধারণা আপনার সহযোগিতা তাদের পাওনা, তাই এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দেওয়ার প্রয়োজন ও নেই।আর আপনি যদি কোনো কারণে তাদের উপকার বা সাহায্য করতে না পারেন, তবে তা সে যেমন ভুলবে না, তেমনি আপনাকেও ভুলে যেতে দেবেনা।

অন্যদের ব্যাপারে তারা চিন্তিত নয়: অকৃতজ্ঞতা থেকেই তৈরি হয় স্বার্থপরতা।অন্যরা তাদের জন্য এটা ওটা করবে এটাই তাদের কাছে স্বাভাবিক ঘটনা হওয়ায় সেই উপকারগুলো করতে অন্যের কতটুকু ত্যাগ স্বীকার করতে হচ্ছে সেদিকে তাদের নজর থাকে না।কারণ সেটা তাদের মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে না কখনই।

নিজের প্রয়োজন ছাড়া অন্যের জন্য সময় নেই: এই মানুষগুলো তখনই কারও সঙ্গে যোগাযোগ করে যখন ওই ব্যক্তির কাছ থেকে তার কিছু একটা দরকার।শুধুই গল্প করার জন্য আপনাকে নক দিবে না।এমনকি মেসেজ দিয়ে খোঁজ নেওয়ারও তারা প্রয়োজন মনে করে না।তাদের ধারণা বিপদে আপনাকে সবসময়ই তারা পাশে পাবে।

সবসময় তারাই ভুক্তভোগী: তারা ভুক্তভোগী হওয়ার অভিনয় করে।চিন্তাধারায় অকৃতজ্ঞ মানুষগুলো নিজেদের সবসময়ই ভুক্তভোগী মনে করে।তারাই পৃথিবীতে সবচাইতে কষ্টে আছে।আপনি যদি কোনো কিছু নিয়ে অভিযোগ করেন, তারা অনেকগুলো এমন উদাহরণ তুলে ধরবে যেখানে তাদের পরিস্থিতি আরও খারাপ ছিল।আর আপনি যদি সেসময় তাদের সহানুভূতি কিংবা সমাধানের পথ দেখান সেটাও তারা আমলে নেবে না।

যেভাবে অকৃতজ্ঞ মানুষদের সামলাবেন:

অকৃতজ্ঞ মানুষ যে কারও জীবনে নেতিবাচক প্রভাব রাখে। অকৃতজ্ঞতা কখনই নেতিবাচক নয়।আপনি যদি বেশিরভাগ সময় এরকম মানুষের সঙ্গে সময় কাটান তবে জীবন হয়ে উঠতে পারে অতিষ্ট।অকৃতজ্ঞ ব্যক্তি থেকে নিজেকে দূরে রাখাই উত্তম, কেননা অকৃতজ্ঞ ব্যক্তির সাথে চলতে থাকলে আপনি নিজেও অকৃতজ্ঞ হয়ে যাবেন।

সীমারেখা তৈরি করুন: যে অকৃতজ্ঞ আচরণ করছে তার থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।যোগাযোগ কমিয়ে দিয়ে দূরত্ব বাড়িয়ে ফেলুন।যখন অকৃতজ্ঞ ব্যক্তি তার প্রয়োজনে আপনাকে পাশে পাবে না তখন আপনার গুরুত্ব ঠিক বুঝতে পারবে এবং এই অকৃতজ্ঞ ব্যক্তি একসময় কৃতজ্ঞ হয়ে উঠবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

অকৃতজ্ঞ মানুষ চেনার উপায় ও তাদের সামলানোর পন্থা

আপডেট সময় : ০৫:৫৭:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩

জীবনযাত্রার নানান ঘটনার চাপে সবাই কমবেশি অকৃতজ্ঞ হয়ে ওঠে।কিছু ক্ষেত্রে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে না পারলেই যে আপনি অকৃতজ্ঞ হিসেবে গন্য হবেন তা কিন্তু নয়।তবে কিছু মানুষ আছেন যারা সর্বক্ষেত্রেই অকৃতজ্ঞ।যাদের কাছে আপনার উপকার এক সময় অনেক বড় ছিল কিন্ত সময়ের সাথে সাথে ২/৪ দিন পরই সব ভুলে যাবে।মনে হবে সেই অকৃতজ্ঞ ব্যক্তি আপনার একসময় অনেক বড় উপকার করেছিল এমন ভাব ধারন করে থাকবে।

এই মানুষগুলো মনে করে নেন অন্যদের সাহায্য পাওয়াটা তার অধিকার এবং সেজন্য ওই ব্যক্তিকে ধন্যবাদ দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।

মানসিক স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে জানা যায় অকৃতজ্ঞ মানুষ চেনার সম্ভাব্য কিছু উপায়।

সন্তুষ্টি নেই: অকৃতজ্ঞ মানুষগুলোর জীবন যতই ভালো যাক না কেনো তারা কখনই খুশি হতে পারেনা।জীবনে যতই প্রাপ্তি আসুক না কেনো তাদের চাহিদার কোনো সীমা থাকে না।তারা সবসময়ই কোনো না কোনো কিছুর অর্জনের চেষ্টায় মত্ত।জীবনে সফল হওয়া অদম্য চেষ্টা থাকা সাধারণত ভালো দিক।তবে আপনার যা আছে সেটুকুর মূল্যায়ন না করা, সেগুলোর জন্য কৃতজ্ঞ না হওয়া কখনই ভালো দিক নয়।

হিংসাপরায়ন: এই মানুষগুলো অন্যের প্রাপ্তিগুলো যখন দেখে, তখন তা নিজের জন্য আশা করা শুরু করে।তবে সেটা অনুপ্রেরণার দৃষ্টিতে নয়।তারা নিজের জীবনকে সবসময় অন্যের সঙ্গে তুলনা করে।‘অন্যের কি আছে যা আমার নেই’ এই হিংসায় তারা নিমজ্জিত থাকে, তবে ‘আমার যা কিছু অন্যের নেই’ সেদিকে কৃতজ্ঞা নেই।

খিটখিটে মেজাজ: অকৃতজ্ঞ মানুষগুলো খুব সহজেই রেগে যায়।অনেকদিন আগের ঘটা কোনো ঘটনা নিয়ে তারা ক্ষোভ পুষে রাখে।আবার এই মুহূর্তে কিছু একটা ঘটছে যা তার অপছন্দ সেটাও তার মেজাজ বিগড়ে দিতে পারে।

নেতিবাচক প্রত্যাশা: অকৃতজ্ঞ মানুষগুলোর বেশিরভাগই অতীতে বড় কোনো মানসিক কষ্টের শিকার হয়েছেন বা এখনও হয়ে যাচ্ছেন।এই অতীত অভিজ্ঞতার কারণে তারা ইতিবাচক কোনো কিছু আশা করার সাহস হারায়।তাদের ধারণা তার সঙ্গে ভালো কিছু হওয়া কখনই সম্ভব নয়।

তাদের চাওয়ার শেষ নেই: বেশিরভাগ মানুষই অন্যের কাছে কোনো কিছু চাইতে কুন্ঠাবোধ করে।তবে অকৃতজ্ঞ মানুষগুলোর এই সমস্যা নেই।তারা খুব সহজেই অন্যের কাছে কিছু চাইতে পারে।আর তাদের চাওয়ার কোনো শেষ নেই।সবসময়ই তাদের কিছু না কিছু প্রয়োজন।তাদের ধারণা আপনার সহযোগিতা তাদের পাওনা, তাই এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দেওয়ার প্রয়োজন ও নেই।আর আপনি যদি কোনো কারণে তাদের উপকার বা সাহায্য করতে না পারেন, তবে তা সে যেমন ভুলবে না, তেমনি আপনাকেও ভুলে যেতে দেবেনা।

অন্যদের ব্যাপারে তারা চিন্তিত নয়: অকৃতজ্ঞতা থেকেই তৈরি হয় স্বার্থপরতা।অন্যরা তাদের জন্য এটা ওটা করবে এটাই তাদের কাছে স্বাভাবিক ঘটনা হওয়ায় সেই উপকারগুলো করতে অন্যের কতটুকু ত্যাগ স্বীকার করতে হচ্ছে সেদিকে তাদের নজর থাকে না।কারণ সেটা তাদের মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে না কখনই।

নিজের প্রয়োজন ছাড়া অন্যের জন্য সময় নেই: এই মানুষগুলো তখনই কারও সঙ্গে যোগাযোগ করে যখন ওই ব্যক্তির কাছ থেকে তার কিছু একটা দরকার।শুধুই গল্প করার জন্য আপনাকে নক দিবে না।এমনকি মেসেজ দিয়ে খোঁজ নেওয়ারও তারা প্রয়োজন মনে করে না।তাদের ধারণা বিপদে আপনাকে সবসময়ই তারা পাশে পাবে।

সবসময় তারাই ভুক্তভোগী: তারা ভুক্তভোগী হওয়ার অভিনয় করে।চিন্তাধারায় অকৃতজ্ঞ মানুষগুলো নিজেদের সবসময়ই ভুক্তভোগী মনে করে।তারাই পৃথিবীতে সবচাইতে কষ্টে আছে।আপনি যদি কোনো কিছু নিয়ে অভিযোগ করেন, তারা অনেকগুলো এমন উদাহরণ তুলে ধরবে যেখানে তাদের পরিস্থিতি আরও খারাপ ছিল।আর আপনি যদি সেসময় তাদের সহানুভূতি কিংবা সমাধানের পথ দেখান সেটাও তারা আমলে নেবে না।

যেভাবে অকৃতজ্ঞ মানুষদের সামলাবেন:

অকৃতজ্ঞ মানুষ যে কারও জীবনে নেতিবাচক প্রভাব রাখে। অকৃতজ্ঞতা কখনই নেতিবাচক নয়।আপনি যদি বেশিরভাগ সময় এরকম মানুষের সঙ্গে সময় কাটান তবে জীবন হয়ে উঠতে পারে অতিষ্ট।অকৃতজ্ঞ ব্যক্তি থেকে নিজেকে দূরে রাখাই উত্তম, কেননা অকৃতজ্ঞ ব্যক্তির সাথে চলতে থাকলে আপনি নিজেও অকৃতজ্ঞ হয়ে যাবেন।

সীমারেখা তৈরি করুন: যে অকৃতজ্ঞ আচরণ করছে তার থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।যোগাযোগ কমিয়ে দিয়ে দূরত্ব বাড়িয়ে ফেলুন।যখন অকৃতজ্ঞ ব্যক্তি তার প্রয়োজনে আপনাকে পাশে পাবে না তখন আপনার গুরুত্ব ঠিক বুঝতে পারবে এবং এই অকৃতজ্ঞ ব্যক্তি একসময় কৃতজ্ঞ হয়ে উঠবে।