নাটোরের বড়াইগ্রামে বাড়িতে আগুন লেগে দুই শিশু সন্তান সহ গৃহবধূ নিহত ও আহত হয়েছে দুইজন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খাকসা উত্তর পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।সেখানে অবস্থার অবনতী হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক, ইউএনও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, থানা পরিদর্শক, ইউপি চেয়রাম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার খাকসা উত্তরপাড়া গ্রামের মো. ওয়ালিউল্লাহ'র স্ত্রী সোমা খাতুন (২৫), মেয়ে অমিয়া খাতুন (৮) ও ওমর আলী (৩)।নিহতদের দাফনের জন্য আর্থিক সহযোগীতা ও আহতদের চিকিৎসার দ্বায়িত্ব নিয়েছে জেলা প্রশাসক।
প্রতিবেশী রওশনারা বেগম বলেন, আমাকে খাওয়ার জন্য তরকারী দিয়ে দুই সন্তানকে ঘুমিয়ে নামাজ পড়তে ছিল সোমা খাতুন।পাশের রুমে বন্ধু আনোয়ারের সাথে ঘুমিয়ে ছিল ওয়ালিউল্লাহ।এই সময় রান্না ঘর থেকে আগুন দেখে দুই সন্তানকে উদ্ধার করতে যায়।পরে গ্যাস সিলিন্ডারের গ্যাসের কারনে আগুন মুহুর্তে ছড়িয়ে পরে।ওয়ালিউল্লাহ ও তার বন্ধু ঘর থেকে বের হতে পারলেও তার স্ত্রী ও শিশু সন্তান আগুন পুড়ে মারা যায়।আগুন নেভাতে গিয়ে ওয়ালিউল্লাহ ও আনোয়ার হোসেন আহত হন।
ইউপি চেয়ারম্যান মমিন আলী বলেন, ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে ঘন্টাব্যাপি চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।আগুনে একটি টিনের ঘর তিনটি কক্ষে থাকা সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।ঘরের মধ্যে দুইটি খালি ও বেক্সিমকো এলপিজির একটি গ্যাস সিলিন্ডার ছিল বলে জানা গেছে।
নাটোর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক এটিএম মোর্শেদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে ঘরে ভিতরে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে।আগুনে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফ আল রাজিব বলেন, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ বলেন, লাশ দাফনের জন্য আর্থিক সহযোগীতা করা হয়েছে।আহত ব্যাক্তিদের চিকিৎসা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে করা হবে।বাড়ি করে দেওয়া থেকে এই পরিবারের জন্য সহযোগীতা অব্যহত থাকবে জেলা প্রশাসনের।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিহাল খান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।