ঢাকা ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...

মালদ্বীপে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন

মোঃ আবদুল্লাহ কাদের,মালদ্বীপ থেকে:
  • আপডেট সময় : ০৪:৪২:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩ ১২৯ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মঙ্গলবার যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক ০৭ই মার্চ উদযাপিত হয়।দিবসটি উপলক্ষে হাই কমিশন হলরুমে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

শাসক গোষ্ঠীর সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ০৭ ই মার্চ ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির উদ্দেশ্যে যে অবিস্মরণীয় ভাষণ দিয়েছিলেন, মূলত সেটি ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ।

বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর অন্যতম।পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মুক্তিকামী জনগণকে সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে ওই ভাষণ মহামন্ত্র হিসেবে কাজ করেছে।একটি ভাষণ কিভাবে সমগ্র জাতিকে জাগিয়ে তোলে, একতাবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করে বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষন তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।বঙ্গবন্ধুর ০৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবন করে ইউনেস্কো ২০১৭ সালের ৩০শে অক্টোবর এই ভাষণকে ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ-এর মর্যাদা দিয়ে ইন্টার্ন্যাশনাল মেমোরি অফ দা ওয়ার্ল্ডে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ।

অনুষ্ঠানের শুরতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা তাজুল ইসলাম।অত:পর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মানননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বানী পাঠ করেন যথাক্রমে মিশনের তৃতীয় সচিব চন্দন কুমার সাহা ও এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার (একাউন্টস) মিজ শিরিন ফারজানা।

আলোচনা পর্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মিশনের কাউন্সেলর (শ্রম) ও দূতালয় প্রধান মোঃ সোহেল পারভেজ।এরপর প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষ হতে বক্তব্য প্রদান করেন মোহাম্মদ নূরে আলম রিন্টু।

বক্তব্য শেষে বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষনের উপর নির্মিত একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শেষভাগে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন।তিনি তাঁর বক্তব্যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করেন।

তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের দিক নির্দেশনাপূর্ণ অনন্য এ ভাষণ বাঙ্গালী জনগণকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিল।যার ফলশ্রুতিতে লাখ লাখ আপামর জনগন প্রাণ বাজি রেখে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল।তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে সবাইকে একযোগে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মালদ্বীপে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন

আপডেট সময় : ০৪:৪২:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩

মঙ্গলবার যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক ০৭ই মার্চ উদযাপিত হয়।দিবসটি উপলক্ষে হাই কমিশন হলরুমে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

শাসক গোষ্ঠীর সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ০৭ ই মার্চ ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির উদ্দেশ্যে যে অবিস্মরণীয় ভাষণ দিয়েছিলেন, মূলত সেটি ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ।

বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর অন্যতম।পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মুক্তিকামী জনগণকে সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে ওই ভাষণ মহামন্ত্র হিসেবে কাজ করেছে।একটি ভাষণ কিভাবে সমগ্র জাতিকে জাগিয়ে তোলে, একতাবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করে বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষন তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।বঙ্গবন্ধুর ০৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবন করে ইউনেস্কো ২০১৭ সালের ৩০শে অক্টোবর এই ভাষণকে ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ-এর মর্যাদা দিয়ে ইন্টার্ন্যাশনাল মেমোরি অফ দা ওয়ার্ল্ডে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ।

অনুষ্ঠানের শুরতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা তাজুল ইসলাম।অত:পর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মানননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বানী পাঠ করেন যথাক্রমে মিশনের তৃতীয় সচিব চন্দন কুমার সাহা ও এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার (একাউন্টস) মিজ শিরিন ফারজানা।

আলোচনা পর্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মিশনের কাউন্সেলর (শ্রম) ও দূতালয় প্রধান মোঃ সোহেল পারভেজ।এরপর প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষ হতে বক্তব্য প্রদান করেন মোহাম্মদ নূরে আলম রিন্টু।

বক্তব্য শেষে বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষনের উপর নির্মিত একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শেষভাগে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন।তিনি তাঁর বক্তব্যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করেন।

তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের দিক নির্দেশনাপূর্ণ অনন্য এ ভাষণ বাঙ্গালী জনগণকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিল।যার ফলশ্রুতিতে লাখ লাখ আপামর জনগন প্রাণ বাজি রেখে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল।তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে সবাইকে একযোগে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।